Malda news:মালদায় প্রচন্ড দাবদাহে মৃত্যু এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের

মালদা:গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নেয় মালদহ জেলায় প্রচন্ড তাপপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ছুঁইছুঁই চলছে। জেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড দাবদাহে নাজেহাল আট থেকে আশি সকলেই। এই প্রচন্ড দাবদাহে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ইংরেজ বাজার থানার অন্তর্গত মিল্কির আট গামা নরহরপুর গ্রামে। মৃতদেহ আনা হলো মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম পাণ্ডব মন্ডল (৩৭)। পরিবারের রয়েছে স্ত্রী নিরুপমা মন্ডল। পান্ডব মন্ডল মালদা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন বর্তমানে নববর্ষ উপলক্ষে সে বাড়ির কাজের ছুটি নিয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। পরিবার সূত্রে আরও জানা যায় ছুটির দিন হিসেবে চাকরির পাশাপাশি চাষাবাদের কাজ করতেন পান্ডব মন্ডল নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। আজ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই নিজের জমিতে গিয়েছিল দেখাশোনা করতে। আর সেখানেই প্রচন্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি খবর পেয়ে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মিল্কি স্থানীয় হাসপাতালে। সেইখান থেকে কর্মরত চিকিৎসকেরা অবস্থার অবনতি হওয়ায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে পাণ্ডব মন্ডলকে। মেডিকেল কলেজে আনার পরেই জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। এই খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিভিক ভলেন্টিয়ার এর স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। সিভিক ভলেন্টিয়ারের এক ভাই জানান আমার দাদা সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বর্তমানে তার ডিউটি ছিল মালদা পুলিশ লাইনে। আজ নববর্ষ উপলক্ষে দাদার ছুটি ছিল। আর এই ছুটির দিনেই দাদা আমাদের জমিতে দেখাশোনা করতে গিয়েছিল। সেখানেই প্রচন্ড গরমের কারণে দাদা অসুস্থ বোধ করে তড়িঘড়ি দাদাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিল্কি হাসপাতালে আমরা নিয়ে যাই। সেইখান থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে আমার দাদাকে। আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমার দাদার মৃত্যুর হাওয়াই পরিবারকে একটি সরকারি চাকরির দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ আমার দাদা পরিবারের একমাত্র উপার্জনের দিক ছিল। কারণ সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজ করে আমাদের সংসার চলত না বলে আমার দাদা চাষাবাদ করতো।