Malda news:পাকুয়াহাট কাণ্ডে নয়া মোড়,আইসি,ওসি সহ চার পুলিশ আধিকারীককে ক্লোজ করা হল

Newsbazar 24: অবশেষে চাপে পড়ে মালদার বামন গোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় বামন গোলা থানার আইসি সহ চার পুলিশ আধিকারীকে ক্লোজ করলেন মালদহের জেলা পুলিশ সুপার। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস, বামনগোলা থানার সাব ইনস্পেক্টর সঞ্জয় সরকার এবং পাকুয়াহাট ফাঁড়ির এএসআই মিলনকুমার সরকারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার । এখনও পর্যন্ত পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে মালদা পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা । আপাতত সবাই পুলিশি হেফাজতে । ইতিমধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশন এবং তপশিলি জাতি বা এসটি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে দেন মালদহের দুই আদিবাসী মহিলা। ইতিমধ্যেই এই দুই কমিশন ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত গত ১৮ই জুলাই হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে আদিবাসী ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়।যে ভিডিয়ো ক্লিপটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় তাতে দেখা যায়, ওই মহিলাকে যারা মারধর করছে, তাদের অধিকাংশই মহিলা । শুধু চড়-থাপ্পর নয়, জুতো ও লাঠি দিয়েও দুই মহিলাকে মারা হয়েছে । একটা সময় উপস্থিত পুরুষ মানুষের সামনে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে পড়েন এক মহিলা। ওই মহিলার সম্ভ্রম রক্ষা করতে কেউতো এগিয়ে এলেন না। উল্টে তাঁদের উপর মারধর চলতে থাকে । ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দুই সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন । তবে তাঁদের কথা কেউ শুনছে না । এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা থাকলেও তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ।পুলিশ জেনেও প্রথমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে নিগৃহীত ২ মহিলাকেই পুলিশ গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ।২৫ জুলাই রাতে জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারক মৃণালকান্তি মণ্ডল দুই মহিলাকে নিঃশর্ত জামিন দেন। পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন । ঘটনার প্রতিবাদে দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু । পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার দাবিতে ২৬ ঘণ্টা ধরে ধরনা চালালেও পুলিশ সুপার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ ।
অবশেষে তীব্র সমালোচনার জেরে ঘটনার ৯ দিন পর অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন জেলা পুলিশ সুপার।তাঁদের পুলিশ লাইনে পাঠানো হল।