Malda news:তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বারো কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Newsbazar 24:-আবারও তৃণমূল পরিচালিত এক গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। ঘটনাটি ইংলিশ বাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। জানা গেছে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এ ব্যাপারে জেলাশাসকের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত এর আগেও হরিশ্চন্দ্রপুরে এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য আরসি বিবির স্বামী আবদুল আরেফ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রহিমা বিবির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, পুখুর খনন, রাস্তা তৈরি সহ একাধিক প্রকল্পে প্রায় ১২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট ১৬ আগস্ট ২০২২ তারিখে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন মালদহের জেলা শাসক কে। তার আরও অভিযোগ, এনআরইজিএস সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভুয়ো স্কীম তৈরি করে একাধিক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ করা হয়েছে রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের পুখুরিয়া এলাকায়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। পাশাপাশি ২০০ মিটারের মধ্যে একাধিক কমিউনিটি টয়লেট, জলাধার,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন তৃণমূল প্রধান।
এই বিষয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা মঞ্জুর হয়েছে। সেই প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অথচ তারা জানেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর দেওয়ার ফম ফিলাপ থেকে শুরু করে ঘর দেওয়ার নাম নাম করে দশ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অথচ এখনো পর্যন্ত তারা ঘর পাননি। রাস্তা হয়নি অথচ রাস্তার বরাদ্দ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক চাপান উতোর।এই বিষয়ে মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল জানান, যেখানে তৃণমূল সেখানেই দুর্নীতি। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে দুর্নীতির আখড়া তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে তৃণমূল প্রধানরা। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে সেই রকমই কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্ট সেই দুর্নীতি তদন্তের জন্য জেলা শাসকের নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের জন্য নয়।
এই বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানান, মহামান্য আদালত দুর্নীতি তদন্তের জন্য জেলা শাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত হোক। কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা। তবে আমার মনে হয় সঠিক তদন্ত হলে দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলো তিনি কিছু বলতে চাননি। এই বিষয়ে প্রধানের স্বামী জাহিদুল সেখ জানান
মানুষের জন্য কাজ করেছি। বিরোধীরা চক্রান্ত করে হাইকোর্টে মামলা করেছে উন্নয়ন বন্ধ করে রাখার জন্য।