Malda news:ছয় মাস যেতে না যেতেই রাস্তা ভেঙে চুরমার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

Newsbazar24:পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া অঞ্চলের চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার শঙ্কায় ভুগছেন। কারণ জলের তোড়ে পাকা রাস্তার মাঝখানে কালভার্ট ভেঙে যাবার উপক্রম হয়েছে। যেকোনো সময় জলের চাপে রাস্তার কালভার্ট সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গিয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন চর লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে রাস্তার অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়েছে প্রতিদিনই একটু একটু করে সিমেন্টের অংশ ভেঙে পড়ছে রাস্তা এবং কালভার্টের উপর দিয়ে দিলে জল বয়ে পাশের টাঙ্গন নদীতে গিয়ে পড়ছে। চলাফেরাও বিপদজনক হয়ে রয়েছে। গ্রামের মানুষের অভিযোগ নিম্নমানের কাজ হয়েছে গত ছয় মাস আগেই এই পাকা ঢালাই রাস্তাটি নতুন তৈরি হয়েছে অথচ বছর না ঘুরতেই রাজবার বিলের জলের চাপে রাস্তা কেটে যেতে শুরু করেছে এবং কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে । গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই রাস্তার কাজটি ঠিকাদার নিম্নমান সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে তার জন্যই অল্প দিনের মধ্যেই রাস্তা ভাঙতে শুরু করেছে। এলাকাবাসীর দাবি অতি শীঘ্রই যেন এই রাস্তার মেরামতি করা হয় নচেৎ লক্ষীপুর বাসির একমাত্র যোগাযোগ রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়লে মানুষ প্রচুর সমস্যায় পড়বে। গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকাকালীন এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দখলে গিয়েছে এই পঞ্চায়েত।

গ্রামবাসীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তার সংস্কারের কাজ করা হোক রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেলে পাঁচটি গ্রামের মানুষদের চলাচল যোগাযোগ একদম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা জানান তৃণমূলের আমলে এই রাস্তা হয়েছে এই রাস্তা নিম্নমানের কাজ হয়েছে যার জন্য ছ মাস যেতে না যেতে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ল। তৃণমূল খালি তোলা তুলতে ব্যস্ত। আর এদের মুখেই বাংলা এগিয়ে আছে শোনা যায়। বাংলা কি রকম এগিয়ে আছে এই রাস্তায় প্রমাণ। এই বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসনকে বলবো বিষয়টি দেখার জন্য।
এ বিষয়ে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য সুব্রত সরকার জানান গ্রামবাসীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কোন নিম্নমানের সামগ্রীর রাস্তার কাজ হয়নি শক্তভাবে রাস্তার কাজ করা হয়েছে বৃষ্টির জলে সম্পূর্ণ বিল ভরে গিয়েছে আর সেই বিলের জলের স্রোতের ফলে রাস্তার ভেঙে পরছে। বিরোধীদের এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই রাস্তার কাজ করেছিলাম।