Malda news:গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে পুরো গ্রাম দত্তক নিল মালদহ মেডিকেলের হবু ডাক্তাররা

Newsbazar24: গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত এবং আধুনিক মানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ গ্রহণ করলো মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। গ্রামীণ স্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে ভবিষ্যতের চিকিত্‍সকদের কাজে লাগাতে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া একটি আদিবাসী গ্রাম দত্তক নিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড় পুকুরিয়া গ্রামকে দত্তক নিল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ।
এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা, পুরাতন মালদহের বিএমওএইচ জয়দীপ মজুমদার। হাজির ছিলেন প্রথমবর্ষের পড়ুয়া সহ এএনএম ও আশাকর্মীরাও। এদিন থেকে মালদহ মেডিক্যালের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা সারা বছর ধরে ঝাড়পুকুরিয়া গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য সহ নানাবিধ বিষয় পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।
অনুষ্ঠানে সহকারী অধ্যক্ষ তথা মালদা মেডিকেলের সুপার পুরঞ্জয় সাহা জানান,’কমিউনিটি মেডিসিনের অঙ্গ হিসাবে প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের তৃণমূলস্তরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে ঝাড়পুকুরিয়া ও সংলগ্ন আরও একটি গ্রামকে আমরা বেছে নিয়েছি। প্রথমবর্ষের ১২৫ জন পড়ুয়ার প্রত্যেককে একটি করে পরিবারকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। আগামী সাড়ে চার বছর এই পড়ুয়ারা তাঁদের হাতে থাকা পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর নজরদারি চালিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এই কাজে তাঁদের সহায়তা করবেন এএনএম ও আশাকর্মীরা।” প্রয়োজনে রোগীদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতেও সাহায্য করবেন পড়ুয়ারা। কোনও কারণে কাউকে মেডিক্যালে ভর্তি হতে হলে কীভাবে রোগীকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হবে, তাও পড়ুয়ারা বিশদে পরিবারের সদস্যদের জানাবেন। সাড়ে চার বছরে পড়ুয়া হবু চিকিত্‍সকেরা রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য সuম্পর্কে সম্যক ধারণা উপলব্ধি করতে পারবেন বলেই মত মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি গ্রামীণ লোকেরাও সরকারি সুযোগ-সুবিধা গুলো গ্রহন করতে পারবেন।
এছড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এদিন থেকেই আমরা প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের এই গ্রামের একটি করে পরিবারের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব দিলাম । এটা শিক্ষাক্রমেরই একটি অঙ্গ । পড়ুয়ারা নিয়মিত গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন । প্রয়োজনে তারা এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করবেন। সারা বছর ধরে তারা পরিবারগুলোর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখবেন এবং প্রয়োজনে পরামর্শও দেবেন।