Malda news:কন্যা দায়গ্রস্থ দিনমজুর পিতাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলো এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

Newsbazar 24::এক দিনমজুর পিতা তার মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। অর্থের অভাবে বারবার পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। মেয়ের চিন্তায় কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার ঘুম উড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে এগিয়ে এলো মালদহের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ঐ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, মালদহ শহরের গৌড় রোডের নরেন্দ্র পল্লীর বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সুশীল মন্ডলের কনিষ্ঠা কন্যা কৃষ্ণা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় ইংরেজবাজার ব্লকস্থ কাঞ্চনটার এলাকার হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনির পাত্র লিটন হালদারের সঙ্গে। অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হবে সেই চিন্তায় কন্যাদয়গ্রস্ত পিতা চারিদিক ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু অর্থের ব্যবস্থা করতে না পেরে বারে বারে বিয়ে পিছিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। অবশেষে তারা জানতে পেরে বিয়ের সমস্ত দায় দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন। ওই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা একেবারে নিজ হাতে দায়িত্ব সামলিয়েছেন বাজার করা থেকে কন্যা বিদায় পর্ব পর্যন্ত। বরযাত্রীসহ অতিথি আপ্যায়নের মস্ত দায়-দায়িত্ব নিজেরাই পালন করেন। গতকাল ২৪ শে এপ্রিল ২০২৩ রাত্রি ১১ টার শুভলগ্নে এক দুই করে অষ্টম তম বিয়ের আসর বসাল মালদা জাগরন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মালদা শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে। বরযাত্রীসহ নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় দেড়শ জন।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এই মহান সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে ধন্য মনে করেছেন শহরের অন্যতম হোটেল ব্যবসায়ী তথা সমাজকর্মী বিনোদ আগরওয়াল। সোসাইটির সম্পাদক শুভজিৎ দাস জানান বিশেষ করে সমাজের যারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, সেসব মানুষের আবেদনে সারা দিয়ে এই ধরনের সামাজিক কাজ মানুষের দানে তারা করে থাকেন। এটি ছিল তাদের অষ্টম তম বিয়ে। শুভ অনুষ্ঠানে আশীর্বাদ করতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষু পরীক্ষক অজিত দাস, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী অনিল কুমার সাহা, শিক্ষক আজিমুল ইসলাম, সমাজকর্মী মুন্না রায় ও ইতি দাস প্রমুখ। ২৫ এপ্রিল ২০২৩ শুভ বিবাহের আচার বিধি মেনে কন্যা বিদায়ের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।