Malda news : সেপটিক ট্যাঙ্ক বসানোকে কেন্দ্র করে উপ প্রধানকে মারধর,হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,গ্রেপ্তার ৩

news bazar24: রাস্তার ধারে সেপটিক ট্যাঙ্ক বসানোকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোটের উপ প্রধান জুল মহম্মদ কে‌ বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে।এমনি মারধর করে উপ প্রধানের ডান কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রামে।হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উপ প্রধান।
অভিযুক্ত হারুন রশিদ,মামুন রশিদ, আলাউদ্দিন ও মানওয়ারুল হক সহ মোট ১১ জনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে উপ প্রধানের পরিবার।অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।ঘটনায় এদিন রাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত মানওয়ারুল নিজের বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে খাস জমিতে সেপটিক ট্যাঙ্ক বসাচ্ছিল।

পাড়ার কয়েকজন প্রথমদিকে ট্যাঙ্ক বসাতে বারণ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।তাই পাড়ার লোকেরা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপ প্রধান জুল মহম্মদ কে বিষয়টি জানান।এরপর উপ প্রধান থানা ও ব্লকে বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিযুক্তরা।প্রশাসনিক আধিকারিকরা পরিদর্শনে এসে সেপটিক ট্যাঙ্ক বসাতে বারণ করে গেলেও রাতের অন্ধকারে সে চারটি ট্যাঙ্ক বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।এই নিয়ে উপ প্রধানের সঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে বচসা হয়।মঙ্গলবার রাতে উপ প্রধান গ্রামে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে চা পান করতে যাচ্ছিল দোকানে।সে সময় অভিযুক্তরা উপ প্রধানকে একা পেয়ে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করে।গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে ছুটে এসে আহত অবস্থায় উপ প্রধানকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন চিকিৎসকরা।যদিও অভিযুক্ত মানওয়ারুল উপ প্রধানকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন,দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে।সেপটিক ট্যাঙ্ক রাস্তা ছেড়ে আমি বসিয়েছি।তা সত্বেও উপ প্রধান ও তার ছেলে বিরোধ করছে।এই নিয়ে কয়েকদিন আগে বচসা হয়।এদিন রাতে তাকে কেউ মারধর করেনি।পুরোটাই সাজানো নাটক।
উপ প্রধানের স্ত্রী হাসিনা বিবি বলেন, সেপটিক ট্যাঙ্ক নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিল।আমার স্বামী স্থানীয় জন প্রতিনিধি হওয়ার জন্য তাকে বারণ করতে গিয়েছিল। এতেই তারা পরিকল্পিত ভাবে এদিন রাতে আমার স্বামীকে মারধর করেছে।ডান কান দিয়ে কিছুই শুনতে পাচ্ছে না। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।