Newsbazar 24:মালদায় মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। জানা যায় ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবক। এর মধ্যে একজন তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই। তাকে অবশ্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি থানা এলাকার পঞ্চানন্দপুরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং এলাকার মানুষ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন।
পুলিশ ও নিগৃহীতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,জানা গিয়েছে, নিগৃহিতা মূক ও বধির নাবালিকা গত সোমবার তার এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে ধৃত মাসুম-সহ কয়েকজন ওই নাবালিকার মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় এক ফাঁকা বাড়িতে। সেখানে তাকে মাসুম ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কোনওরকমে নাবলিকা পালিয়ে বাড়ি ফেরে। তার আচরণে তার মার সন্দেহ হওয়ায় নাবালিকাকে জিজ্ঞেস করে। এরপরই নাবালিকা ইশারায় গোটা ঘটনাটি জানায়। সাথে সাথে পরিবারের সদস্যরা মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল মালদায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান,’আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে চারিদিকে তৃণমূল কর্মীরা খুন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে, সেটা ভাবার বিষয়। তিনি প্রতিটা সভায় অনেক বড়বড় কথা বলেন। প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তাঁর কথা কেউ শুনছে না।’ তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন,’আইন আইনের পথেই চলবে। অভিযুক্তের পাশে দল কখনোই থাকবে না।’