Malda news:দুর্নীতির থেকে মানুষের মন ঘোরাতে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের ভুয়ো প্রচার’: সুকান্ত মজুমদার

Newsbazar24: তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকে ভুরি ভুরি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। সেই টাকা কোথা থেকে আসছে তার কোন জবাব নেই। এ ব্যাপারে তারা মুখে কুলুপ এটেছে। আর এখন এই দুর্নীতির দিক থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে উত্তরবঙ্গকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটা ভুয়ো প্রচার হাওয়াতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংগঠনিক বৈঠকে সোমবার মালদহে এসে দলীয় কর্মীসভায় তৃণমূল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন।
এদিন মালদহ শহরের পুড়াটুলি বাঁধ রোড এলাকার বিজেপির জেলা সদর কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একান্তই সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসালও। সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরো বলেন শিক্ষক নিয়োগ, গরু পাচার, কয়লা পাচারে লাগাম ছাড়া দুর্নীতিতে নাজেহাল তৃণমূল সরকার। এখান থেকেই মানুষের নজর ঘোরাতে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের একটা ভুয়ো প্রচার হাওয়াতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,’তৃণমূল নিজেদের বাঁচাতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করছে। এতে কোন লাভ হবে না। ভুয়ো প্রচারে মানুষ কান দেবে না। চোখের সামনে যা উঠে আসছে, যা দেখতে পাচ্ছে তাতে এরাজ্যের মানুষ বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, মানুষের টাকা মেরেছে তারা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সকলকেই শাস্তি পেতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না।’
তার দাবি, তৃণমূলের মন্ত্রী বলছেন যেসব জায়গায় পুর নির্বাচন বাকি আছে সেগুলোকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাথে করবেন। কিন্তু এটা ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সেটা নিশ্চয়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা ফিরহাদ হাকিমরা ঠিক করে দেবেন না।। করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর বর্বরোচিত আচরণের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন আমরা চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। তাই ওইসব বিক্ষোভকারীদের বলছি আর কটা দিন ধৈর্য ধরুন। দুর্নীতির এই সরকার আর থাকছে না। বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় আসলে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হবে।
পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার কড়া বার্তা
যেসব কর্মীরা নিজেদের স্বার্থের জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা এখন আবার বিজেপিতে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু দল তো পচা আলু নেবে না। তাই যোগদানের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, পাহাড়ের কিছু জায়গা ছাড়া বিজেপির এককভাবে লড়বে। দেশের সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য চাকরি সংরক্ষণের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘোষণা বহুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন । জাতপাতের ভেদাভেদ ভুলে আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের ১০ শতাংশ কোটা মোদীজি আগেই করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতার সরকার এই স্থান দেয়নি। তবে এবার থেকে এই সিদ্ধান্তই মানতে হবে। বিচার ব্যবস্থার এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি।