Malda Mango:আবারও জেলায় তীব্র দাবদাহে আম চাষীরা ক্ষতির আশঙ্কায়

Newsbazar 24; মালদহ জেলায় আবার শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। কয়েকদিনে ধরেই চলছে এই তাপপ্রবাহ । এর ফলে আবারো নতুন করে আশঙ্কায় ভুগছেন আমচাসীরা। একদিকে আম যখন পুষ্ট হতে চলেছে তখনই এই তীব্র গরমের ফলে আমের এই বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হবে বলে ধারণা আম চাষীদের। পাশাপাশি তাদের ধারণা আম পাকার আগেই ঝরে যাবে।
অথচ এবার মরশুমের প্রথমদিকে আবহাওয়া আম চাষের
অনুকূল ছিল ।প্রচুর পরিমাণে আমের মুকুল এসেছিল । এমনকি কালবৈশাখীর ঝড় সেভাবে ঘটেনি । তাই গাছে গাছে আমের ফলন ভালোই হয়েছে। উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল এবারে মালদায় আমের উত্‍পাদন ৩ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পেরিয়ে যাবে।
মালদা জেলায় ৩১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে এবার আমচাষ হয়েছে । মালদা জেলায় বিভিন্ন প্রজাতির আম উত্‍পাদন হয় । তার মধ্যে রয়েছে আরলি ভ্যারাইটি মধ্য ভ্যারাইটি ও লেট ভেরাইটি ।
কয়েকদিন আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার পর আবারও তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে স্বাভাবিকভাবেই এই তীব্র তাবদাহে চিন্তিত আম চাষিরা।
মালদহের সহদুল্লাপুরের আমচাষী সুধন্য মন্ডল বলেন, তীব্র গরমের পর মাঝখানে কয়েকদিন ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল আবারো বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ চলছে। এই সময় আমপুষ্ট হতে শুরু করেছে পাকারও সময় চলে আসছে ধীরে ধীরে। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হবে আমে রং ধরতেও দেরি হবে।
তীব্র গরমে প্রায় পুষ্ট হয়ে আসা আম শুকিয়ে যেতে বসেছে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঝরেও পড়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে বৃষ্টি না হলে এবারেও আম চাষে মার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
বিষনপুরের আরেক আম চাষী সুবল রায় জানান, যেভাবে আবার তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে তাতে আবার আমাদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আগের মত আম আবার কিছু ঝরে যাবে না তো। তিনি আরো জানান, এখন আম প্রায় পুষ্ট হয়ে এসেছে। পাকারও সময় হয়ে এসেছে এই সময় যদি একটু বৃষ্টির জল পেত তাহলে আমের বোঁটাও শক্ত হতো। আম ঝরে পড়তো না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহে আমের বোটাও শক্ত হবে না ঝরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উদ্যান পালন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মালদা জেলায় মে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, তা আগামী কয়েকদিন বজায় থাকার সম্ভাবনা। এইরকম আবহাওয়া চলতে থাকলে আম চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কারন এখন আম পুষ্ট হয়ে পাকার সময় হয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এমন তাপপ্রবাহ চললে আমে তাড়াতাড়ি হলুদ রং চলে আসার সম্ভাবনা । এর ফলে আমের বোঁটা দুর্বল হয়ে গাছ থেকে আম ঝরে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে জেলা উদ্যান পালন দপ্তর থেকে চাষিদের উদ্দেশ্যে, যতটা সম্ভব প্রয়োজন অনুযায়ী আমগাছে জল স্প্রে করার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ছোট গাছ হলে গাছের গোড়ায় জলসেচের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে । এভাবেই কয়েকটি দিন পার করতে পারলেই বিপদ কেটে যাবে বলে তাদের আশা। তবে ইতিমধ্যে মালদহ জেলায় বাজারে কৃষ্ণনগরের আম ভর্তি হয়ে গেছে। মালদহের আম বাজারে ঢুকতে ঢুকতে চলতি মাসের শেষ হয়ে যাবে অথবা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে।