Malda Laxmi Puja:অস্ত্র হাতে আঠারো হাতের মহালক্ষী পূজিত হন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একমাত্র মালদহে

Newsbazar24:বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। দুর্গাপূজার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গেছে লক্ষ্মীপূজো।
মালদহের বামনগোলার গাঙ্গুরিয়া শ্রী শ্রী সারদাতীর্থম আশ্রমে প্রতিবছর ১৮ হাত বিশিষ্ট এই মহালক্ষ্মী পূজিত হন। মায়ের ১৮ হাতে রয়েছে-ভগবান নারায়ণের সুদর্শন চক্র, ত্রিশূল, গদা, তীর, ধনুক, কুঠার, বজ্র, জপের মালা, শঙ্খ, পদ্ম সহ বিভিন্ন অস্ত্র। বিগত ২০০২সাল থেকে শ্রী শ্রী সারদা তীর্থ আশ্রমে শক্তি রূপে পুজো করা হয় মা লক্ষ্মীকে। এখানে দেবী দুই রুপে পূজিত হন সকালে মহালক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে পূজিত হন দেবী লক্ষ্মী। এবারও তার অন্যথা হয়নি।এবারও সকাল থেকে ১৬ রকম উপাচার দিয়ে মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই উপাচারে বস্ত্র, আলতা, কাজল, চিরুনি, ধুপচি, সহ নানা কিছু দেওয়া হয়। এছাড়াও মায়ের জন্য অন্নভোগ, পাঁচরকম ভাজা, ডাল, তিনরকম তরকারি, রকমারি মিষ্টি নিবেদন করা হয়। মহালক্ষ্মীর পূজোয় ১০৮টি বেলপাতা দিয়ে যজ্ঞ করার রীতি রয়েছে।রাতে এই আশ্রমে কোজাগরী রূপে মায়ের পুজো দেওয়া হয়। লক্ষীদেবীকে নিবেদন করা হয় লুচি, সুজি, মিষ্টির ভোগ।
স্বামী গিরিজাত্মানন্দ মহারাজ ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি ১৮টি হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই আশ্রমে। এই পুজো গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে একমাত্র মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমে। আশ্রম সূত্রে জানা যায়,দেবী এখানে লক্ষ্মী,মা দুর্গা,চণ্ডী রুপী সহ বিভিন্ন ভাবে পূজিত হন। মহালক্ষ্মীর পুজোর সময় চণ্ডীপাঠ করা হয়। এই পুজোর ঘট স্থাপনের জন্য পাকুড়, অশ্বত্থ, আম, বট ও অশোক গাছের পল্লব দেওয়া হয়। জানা যায় এই পুজো শুরু করার উদ্দেশ্য অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠা।