Malda & Dakshin Dinajpur:আবারও হাড় হিম করা খুনের ঘটনা, মালদহের এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে খুন,দেওয়ালের বাঙ্কার থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

Newsbazar24::মালদহের পুকুরিয়া থানার কোকলামারী গ্রামের এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে নৃশংস খুনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছিল ইংরেজ বাজার থানার এক শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দম্পতিকে জেরা শুরু করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে হাড়হিম করা এক তথ্য। পুলিশি জেরায় ওই স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী মৌমিতা হাসান জানান তার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নিহত ঠিকাদার সাদ্দাম নাদাপের। তার অভিযোগ, বিভিন্ন রকমের চাপ সৃষ্টি করে মৌমিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত সাদ্দাম। স্বামী ও সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়েও সাদ্দাম মৌমিতাকে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়েই তারা সাদ্দামকে খুনের ছক কষে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে সাদ্দামকে নিজের বাপের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার শিউর গ্রামে নিয়ে যান মৌমিতা। খুন করে দেওয়ালের মধ্যে তৈরি করা বাঙ্কারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এমনকি বাইরে থেকে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় যাতে বুঝতে না পারা যায়। এদিন পুলিশ সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে।পুলিশ জানাচ্ছে দেহে পচন ধরেছিল।
মৌমিতা জানায়, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করত। সে আত্মহত্যা করবে, আমার স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলবে বলে আমার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করত।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে মৃতের স্ত্রী অভিযোগ করেন গত ১৮ ই মে থেকে তার স্বামী সাদ্দাম নিখোঁজ। তিনি
ইংরেজবাজার থানায় ঐ শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছ থেকে এই ঘটনা শোনার পর এদিন মৃতের স্ত্রী বলেন, “ওই মহিলার ফাঁসির দাবি করছি । কিন্তু ওরা তো আমার স্বামীর কাছে ৪৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। ওরাই হুমকি দিত। ওদের কাছে আমার স্বামীর প্রচুর টাকা রয়েছে।
জানা গেছে, পুখুরিয়া এলাকারই বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাপ ভিন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার ছিলেন। এ ছাড়া তার আরো অনেক কিছু ব্যবসা ছিল।অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর স্বামী তাঁর কাজে সহায়তা করে মাসোয়ারা নিতেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসার স্বার্থে দেওয়া প্রায় ৫০ লক্ষ্যের ও অধিক টাকা পাওনা ছিল ওই দম্পতির কাছে।
এই হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। কী কারণে এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হল সাদ্দামকে, শুধুই কি মৌমিতা নাকি আরও কেউ জড়িত রয়েছেন এই ঘটনায়, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।