Malda: আবারও সিভিক ভলেন্টিয়ারের দাদাগিরি, প্রধান শিক্ষক ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের দ্বন্দ্বে স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ হওয়ার পথে!*

Newsbazar24:: আবারও মালদহে সিভিক ভলেন্টিয়ারের দাদাগিরি। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হওয়ার সুবাদে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপর ছড়ি ঘোরানোর অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তার কথা মত কাজ না করায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে একটি বৈঠকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন ঐ সিভিক ভলেন্টিয়ার। ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলা শিক্ষা দপ্তর, হবিবপুর থানা, জেলা পুলিশ সুপার এর কাছে।
যদিও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রধান শিক্ষকের ওঠা এই অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের আইহো হাই স্কুলে।
স্বাভাবিকভাবেই পরিচালন সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের এই দ্বন্দ্ব ঘিরে স্কুলের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পথে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আইহো হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় বর্মন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি ওই পদ পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কাজে তিনি জটিলতা তৈরি করে চলেছেন। তিনি চাইছেন স্কুল চলুক তার কথায় অথচ হঠাৎ প্রয়োজনে তাকে স্কুলে পাওয়া যায় না। অভিযোগ প্রসঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় বর্মন বলেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মিশ্র নিজেই সব বিষয় জটিলতা সৃষ্টি করেন তিনি একক সিদ্ধান্তে কাজ করতে চান,
স্কুলের কারো সঙ্গে সহযোগিতা করেন না আমি তার চালাকি ধরে ফেলেছি আমি সব ক্ষেত্রেই তার কাজে বাধা দিচ্ছি বলেই তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। এদিকে প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মিশ্র জানান উনি বিভিন্ন কাজে প্রথম থেকেই বাধা দিয়ে আসছেন স্কুলের প্রতিটা বৈঠকে সমস্যা তৈরি করেন সম্প্রতি স্কুলের একটি বৈঠকে সকালের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন তার জেরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরা চাই প্রশাসন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ করুক।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি প্রতাপ সিং জানান সিভিক ভলেন্টিয়ার তৃণমূল দল হিসেবে ওই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে এখন নেতাদের নয় সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে তৃণমূল দল চালাচ্ছে। অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের দাবি ইতিমধ্যেই অভিযোগ জেলা শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে,তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। আমরা চাই হেডমাস্টার এবং সভাপতি এই দ্বন্দ্ব ঘিরে স্কুলের পঠন-পাটনের কোন ক্ষতি না হয়। বিজেপি সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাংলায় বিজেপি নেই তারা অভিযোগ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।