Newsbazar24:সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত সংগীতের পক্ষে সওয়াল করলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হিন্দুস্তানি কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী অজয় চক্রবর্তী। মালদা শিল্পী সংসদের উদ্যোগে আইটিসি মিনি সংগীত সম্মেলনে অংশ নিতে রবিবার তিনি মালদায় এসে পৌঁছান। এদিন সকালে একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় মিলিত হয়ে তিনি বলেন সংগীত হোক সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত। আমাদেরকে কেউ পন্ডিত আবার কেউ ওস্তাদ বলে অভিহিত করেন। আমার মনে হয় ওস্তাদ ও পন্ডিত খুবই সংকীর্ণ মনা জিনিস। তাই আমার ইচ্ছা ওস্তাদ এবং পন্ডিত বলে সাম্প্রদায়িক বিভাজন না করে তার বদলে সংগীত গুরু অথবা সঙ্গীত শিক্ষক বলা উচিত। আমরা যেহেতু সকলে সঙ্গীতের সাধনা করে চলেছি তাই সকলকেই সংগীতের শিষ্য বলে অভিহিত করা হোক। তিনি মালদহের শিল্পীদের ভূয়ষি প্রশংসা করেন। তিনি আরো বলেন মালদহে আমার বহু শিষ্য এবং বহু অনুরাগী এমনকি একসাথে সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেছি এমন লোকও মালদায় রয়েছে। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে মালদা সংগীতের একটি জনপ্রিয় জায়গায় পৌঁছেছে বলে তিনি বলেন। এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার মালদহে এসেছি। মালদহের সংগীত পরিমণ্ডল আমাকে খুব আকর্ষণ করে। তিনি এদিন দীপ্ত কণ্ঠে স্বীকার করেন লতাজির গানে শুনেই তিনি এই সংগীত জগতে এসেছেন। লতাজি না থাকলে তার হয়তো এই সংগীত জগতে আসা হতো না। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন বর্তমানে সংগীতে আন্তরিকতার অনেক অভাব রয়েছে। এখন অর্থের দিকটা সামনে চলে এসেছে। যার ফলে আন্তরিকতাটা একটু পিছিয়ে পড়েছে। এটাকে আমাদেরকে কাটিয়ে উঠতে হবে। সঙ্গীত প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসে। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম ও ইউটিউবে যেভাবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের গান ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাতে এই সমস্ত ছেলে-মেয়েদের সংগীত প্রতিভাকে বিনষ্ট করা হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম যারা হাতে-কলমে সংগীত বা বাজনা শিক্ষা নিচ্ছে তারাই সত্যি কারের শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবেন।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংগীত শিল্পী সন্দীপ ঘোষ সৌমেন সরকার জ্যোতির্ময় ব্যানার্জি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা শিল্পী সংসদের সভাপতি জেলার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার ডি সরকার, সঙ্গীতানুরাগী তথা জেলার ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল সাহা সহ অন্যান্যরা।