Malda:মোথাবাড়ি থেকে আগামী ১১ এপ্রিল ডিএম অফিস ঘেরাওয়ের ডাক বিজেপির রাজ্য সভাপতির

Newsbazar24 ::দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল মালদহের মোথাবাড়ি। যদিও পুলিশের দাবি সময় মত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। কিন্তু এখনও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। শনিবার রাতে মালদহে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।রবিবার সকালে মোথাবাড়ির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে রওনা দেন সুকান্ত মজুমদার। শহর ছাড়িয়ে মোথাবাড়ি পৌঁছনোর ১০ কিলোমিটার আগে গাড়ি থেকে নামেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে পুলিশ ধরপাকড় ও নির্দোষদের অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “পুরুষদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, রাতে মহিলাদের অত্যাচার করছে পুলিশ।” ওই গ্রামে দেখা করার পর সুকান্তরা এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপর তারা প্রথম ব্যারিকেডের মুখোমুখি হন। সুকান্ত এবং তার সঙ্গে থাকা জেলা নেতৃত্ব প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান এরপর সোদাল্লাপুরের কাছে পুলিশ বাঁশ দিয়ে ৮/৯ ফুট উঁচু একটি বড় ব্যারিকেড তৈরি করে। দেখে মনে হয় বাঁশের কেল্লা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বহু দলীয় কর্মী, সমর্থক।

বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। “পুলিশমন্ত্রী হায় হায়” স্লোগানও দেন তারা। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে সুকান্ত বলেন, মোথাবাড়িতে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে রেখে সত্য লুকানোর চেষ্টা করছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে মরিয়া। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ আমাদেরকে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তিনি আরো প্রশ্ন করেন মোথাবাড়িতে হামলার সময় পুলিশ কর্মীরা কোথায় ছিল? এখান থেকে তিনি জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের সকল নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে আগামী ১১ই এপ্রিল ডিএম অফিস ঘেরাও করবে। সেখানে আমরা তৃণমূলের পতাকা টাঙ্গিয়ে দেবো। আর ঘোষণা করবো সেদিন থেকেই জেলা তৃণমূলের কার্যালয় হবে ডিএম অফিস।