Newsbazar 24:রাস্তা যতদিন না পাকা হচ্ছে ততদিন দিদির দূত সহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সোমবার মালদহের পুরাতন মালদহ ব্লকে মঙ্গলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে এ দৃশ্যের পর মঙ্গলবারও ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে এই পোস্টার দেখা গেল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের একটিমাত্র রাস্তা। বাগবাড়ি থেকে ৫২ বিঘা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে বিডিও -সবাইকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। প্রতিবার ভোট এলেই নেতারা আসে। রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে যায়। ভোট ফুরোলেই আর কাউকে দেখা যায় না। বছরভর ঝুঁকি নিয়ে বেহাল রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা সুধীর মিশ্র অভিযোগ করে বলেন ,প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে। তাই গ্রামবাসীরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না দিদির দূত সহ সকল রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের। কেন রাস্তা হয়নি? ভোট এলেই সবাই হাজির হয়। আর আমরা সারা বছর কষ্টে থাকি। তাই এমন সিদ্ধান্ত।
একই কথা বলছেন ৫২ বিঘা গ্রামের বাসিন্দা সুখদা মণ্ডলও। তিনি বলেন,দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনকে বলে বলেও আমাদের এখানকার রাস্তা হচ্ছে না। আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই নেতামন্ত্রী এবং দিদির দূত কাউকেই আমরা এলাকায় ঢুকতে দেব না। তাই আমরা পোস্টার দিয়েছি।’
এক অটো চালক রতন মন্ডল জানান, ভীষণ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তা খারাপের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। দু’দিন পরপর গাড়ি সারাই করতে হয়। বিশেষত, রোগী নিয়ে যাওয়ার বীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। গাড়ির ঝাঁকুনিতে রোগীও বেহাল হয়ে পড়ে।”
প্রসঙ্গত ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকেই বিঁধেছে বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ”গত ৫ বছর ধরে দিদির ভূতদের এলাকাবাসী দেখেছেন। গ্রামে ঢুকলেই লুটেপুটে খেয়েছেন তাঁরা। তাই আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ফলে এমন পোস্টার পড়েছে।”
এ বিষয়ে তৃণমূলের মালদহ জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন,’রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্প গুলোর সুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। এছাড়াও মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতেই যাচ্ছেন। গ্রামবাসীদের কিছু আশা অপূর্ন থাকতেই পারে। তা জন্যই দিদির দূতরা গ্রামে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কিন্তু বিরোধীদের লক্ষ্যই হচ্ছে কোন কাজে বাধা সৃষ্টি করা।”