Kolkata news:সকাল সকাল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ক্ষুদে পড়ুয়া ও তার পিতার, অম্নিগর্ভ বেহালা

Newsbazar 24:সকাল সকাল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক শিশুর। ঘটনায় অগ্নিগর্ভ বেহালা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি। দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ উত্তেজিত জনতার। আর তা সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে একেবারে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় উত্তেজিত জনতার।
উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশ-ব়্যাফ ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, একের পর এক কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। অভিযোগ, স্কুলের দিকে তাক করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। আর তাতে স্কুলের ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি অভিভাবকদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয়দের বিক্ষোভে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার রোড।চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ মাটি বোঝাই একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে বড়িষা প্রাথমিক স্কুলের এক পড়ুয়া এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খুদে পড়ুয়ার। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এর পরই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোডে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তা। রাস্তায় আটকে প্রচুর যানবাহন। চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
অশান্তি এড়াতে নামানে হয়েছে ব়্যাফ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেই সময় পুলিশ ও ব়্যাফের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। রক্ত ঝরে পুলিশেরও।
বিক্ষুব্ধ জনতার দাবি, দুর্ঘটনার পর লরিচালককে ধরা গেলেও পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উত্তেজিত জনতার। শুধু তাই নয়, বেহালা অঞ্চলে একাধিক স্কুল রয়েছে। সেভাবে পুলিশের তরফে কোনও নিরাপত্তাই নেই বলেও অভিযোগ ক্ষুব্ধ জনতার।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে ঘাতক লরিটিকেও ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।‌শেষমেশ সাতরাগাছি ব্রিজের আগে লরিটিকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘন্টা তিনেক পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। সর্বশেষ পাওয়া খবর এ জানা যায় মৃত ছেলেটির বাবা ও চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন।