Kolkata news:ডিএ আন্দোলনে ধৃত সরকারি কর্মীরা অবশেষে জামিন পেলেন

Newsbazar24:বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা মিছিল করে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সরকারি কর্মীরা। বিধানসভার দিকে এগোতেই আরও একবার পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের পুলিশ ঘুষি মারে বলে অভিযোগ।গ্রেফতার করা হয় ৪৭ জন আন্দোলনকারীকে। এর মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ১১ জন মহিলা ছিলেন।
দিনভর সওয়াল-জবাব শেষে জামিন পেলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে সওয়াল করেন সিপিএম নেতা তথা প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এরপর ৪৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধৃত আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত জামিনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যৌথ মঞ্চের অন্যান্য সদস্যরা।
জামিনের পর আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, কোনওভাবেই দাবি থেকে সরে আসবেন না। ডিএ না দিলে আগামী দিনে ফের শামিল হবেন আন্দোলনে। তবে
মামলারই রায় দিতে গিয়ে বিচারকের তলায় ভিন্ন সুর।
সূত্রে জানা যায়, এদিন এজলাসে বিচারক বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষ সমাজতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের অধিকার রয়েছে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার। কিন্তু সেটা যেন শান্তিপূর্ন হয়। আমি কেস ডায়েরিতে দেখেছি বিধানসভা অভিযানে একাধিক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তাহলে বলা যায় এই অভিযান শান্তিপূর্ণ ছিল না। পুলিশ কর্মীরা রাজভবন, বিধানসভার সামনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।” এরপরেই তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার রয়েছে তাঁদের দাবি জানানোর। কিন্তু, মনে রাখতে হবে সরকারি কর্মীদের আইনের প্রতি সম্মান ও আরও ধৈর্য রাখার প্রয়োজন। তাঁরা কখনওই রাস্তায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেন না।” তাঁর দাবি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটলে আদালত ‘চুপ’ করে বসে থাকবে না।