পরমেশ্বর মিশ্র (গয়া) ঃ প্রধানত বৈষ্ণব মতাবলম্বীরা জাগতিক মঙ্গলকামনায় এবং অশুভ–অকল্যাণ দূর করতে জন্ম অষ্টমী ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। আর এই পুজা প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে অষ্টমী তিথিতেই শ্রীকৃষ্ণের পুজো হয়ে থাকে।
আর এই জন্ম অষ্টমী পুজা কি ভাবে নিজে নিজেই করবেন এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন মানুষের মধ্যে থাকে, আর এর প্রশ্ন মন থেকে দূর করতেই আজ আপনাদের জানানো হচ্ছে ,কিভাবে করবেন শ্রী কৃষ্ণের পুজা –
জন্মাষ্টমীর তিথির আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে পারেন এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে।
পুজোর নিয়ম : কিভাবে করবেন পুজা ? কি কি লাগবে এই পুজায় ?
জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের জন্য উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন ফুল, আতপ চাল, ফলের নৈবেদ্য, ফুল, তুলসীপাতা, দূর্বা, ধূপ, দীপ, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধু পর্কের বাটি, আসন–অঙ্গুরী ।
এইদিনে উপবাসে থেকে উপকরণগুলি দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতে হয়। যেখানে পুজা করবেন সেই স্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি ছবি অথবা মূর্তির সঙ্গে গণেশ মূর্তিও স্থাপন করা হয়ে থাকে। পাশে রাখতে হবে প্রদীপ ৷
মিষ্টি, ফল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী আপনার সাধ্যমত থালায় সাজিয়ে রাখতে হবে। তবে মন চাইলে শ্রী কৃষ্ণ বা গোপালের প্রিয় খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে মাখন মিছরি, ননী,নাড়ু, তালের বড়া,ক্ষীর, রাবরি, মালাই , মালপোয়া ইত্যাদি, যা সাজিয়ে গোপালের সামনে ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে পারেন৷
প্রথমে শ্রী গণেশের প্রার্থনা(ওম শ্রী গণেশায় নমহা) করতে হবে ৷ এরপর কিছুক্ষণ ধ্যান করতে হবে মন যাতে শান্ত থাকে।
প্রদীপ জ্বালাতে হবে। শ্রীকৃষ্ণের প্রার্থনা (‘ওম নমঃ ভাগবতে বাসুদেবায়’)করতে হবে। এরপর ফুল অর্পন করতে হবে। তুলসি পাতা থাকলে ভাল হয়। তাছাড়া ধূপ জ্বালাতে হবে।
‘ওম নমঃ ভাগবতে বাসুদেবায়’ উচ্চারন করে যেতে হবে। এরপর ফল, মিষ্টি এবং অন্যান্য খাদ্য অর্পন করতে হবে। প্রার্থনা শেষে কিছুটা জল ছিটিয়ে দিতে হবে। কৃষ্ণ ভগবানের এই মন্ত্র বেশ কয়েকবার মনে মনে উচ্চারন করা যেতে পারে। এরপর ফল,মিষ্টি ও অন্যান্য খাদ্য প্রসাদ হিসাবে সবাইকে বিতরণ করতে হবে।
অনেক ভালো যোগ এবারের ‘’জন্ম অষ্টমী’’তে । এই বছর জন্ম অষ্টমী ব্রত পালন করলে পাওয়া যাবে শ্রী কৃষ্ণের অশেষ কৃপা