Howrah news: হাওড়ার পাঁচলায় মনিপুরের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে সরব বিজেপি

Newsbazar 24:মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে গোটা দেশ যখন তোলপাড়। ঠিক তখনই বাংলা থেকেও এমনই এক ঘটনা সামনে এল!গত ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে গ্রামে ঘুরিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট ওই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে ওই মহিলাকে মারধর এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
আরও জানা যায়, হাওড়া জেলার পাঁচলা এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের একজন মহিলা প্রার্থী শাসক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করার অভিযোগ করেছেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাকে উলঙ্গ করে পুরো গ্রামে ঘোরানো হয়। এ ব্যাপারে পাঁচলা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী হেমন্ত রাই, নূর আলম, আলফি এসকে, রণবীর পাঞ্জা সঞ্জু, সুকমল পাঞ্জা এবং আরও অনেককে এফআইআর-এ অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলার আরও অভিযোগ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে নিগ্রহ করে। তাঁর বুকে ও মাথায় লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। নির্যাতিতা মহিলা আরও জানিয়েছেন যে তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং তাকে নগ্ন করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে তাকে অশ্লীল ভাবে স্পর্শ করা
হয় এবং শ্লীলতাহানি করা হয়। নির্যাতিতা বলেছেন যে, যখন কিছু টিএমসি কর্মী তাকে হেনস্থা করছিল, তখন তাদের একজন নেতা তাদের জামাকাপড় ছিঁড়তে প্ররোচিত করেছিলেন।
বিজেপির পশ্চিম বঙ্গের মিডিয়া সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্য একটি টুইটে দাবি করেছেন যে বিজেপি চাপ দিলে এই মামলায় এফআইআরও নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অমিত মালব্য লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার লজ্জা নেই? ৮ জুলাই, ২০২৩-এ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনে, আপনার সচিবালয় থেকে অল্প দূরে হাওড়ার পাঁচলাতে গ্রামসভার একজন মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছিল, নগ্ন প্যারেড করা হয়েছিল। বিজেপি চাপ সৃষ্টি করার পর আপনার পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একজন দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নারী হয়েও সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ। তিনি অন্য রাজ্যের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে বাংলায় মনোযোগ দিন। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় হিংসাত্মক ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল এবং অনেক লোক রাজ্য ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিল।
এদিকে মনিপুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনো পর্যন্ত মোট চারজন এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।