Hooghly news:সন্ত্রাস করে তৃণমূল সমবায়ের ভোটে জেতার পর গ্রাহকরা সমবায় থেকে দলে দলে টাকা তুলে নিচ্ছেন

Newsbazar24: সিঙ্গুরের এক কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটে জেতার পর থেকেই গ্রাহকরা টাকা তুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল জিতেছে বলেই তাদের টাকা মারা যাবে এই ভয়েই কি তারা টাকা তুলে নিচ্ছেন? অভিযোগ উঠেছে এই সমবায় নির্বাচনে তারা ভোট লুট করে জিতেছেন।
প্রসঙ্গত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিঙুরের ছিনামোড় সমবায়ের নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তারা ৫৭টি আসনের মধ্যে ৫৩টিতে প্রার্থী দিয়েছিল । ভোট গ্রহণ শুরু হতেই বিরোধী শিবিরের ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ফল বেরোলে দেখা যায় তৃণমূল যে ৫৩টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে তার সবকটিতেই জয়লাভ করেছে তারা। বিরোধীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বাকি ৪টি আসনে জয়লাভ করে।
অন্যদিকে ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে সমবায়ের গ্রাহকদের মধ্যে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে। যদিও এখনো সেখানে বোর্ড গঠন হয়নি। সমবায় গ্রাহকের একাংশ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাদের জমা টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। প্রায় ৫ কোটি টাকা মূলধন তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
টাকা তুলতে আসা এক আমানতকারী জানিয়েছেন, সন্ত্রাস করে তৃণমূল ভোটে জিতেছেন। এবার সমবায় দখল করে আমানতকারীদের টাকা সরাবেন। তাই বোর্ড গঠনের আগেই নিজের টাকা তুলে নিচ্ছি।’
বিদায়ী বোর্ডের ডাইরেক্টর সুপ্রতীম বাগ বলেন, ‘ভোটের নামে এখানে প্রহসন হয়েছে। তাই আমানতকারীরা সমবায়ে আস্থা হারিয়েছেন। স্বচ্ছ ভোট হলে আমরা হারলেও মানুষের আস্থা বজায় থাকত। এসব করে তৃণমূল আসলে সমবায় আন্দোলনের ক্ষতি করছে।
এ বিষয়ে সমবায়ের ম্যানেজার জানান, ‘যে সব গ্রাহকরা ভোট দিতে পারেননি মূলত তাঁরাই টাকা তুলে নিচ্ছেন। নতুন বোর্ডের প্রতি অনাস্থা থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন তাঁরা।’
বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, ‘কে চায় যে তার আমানত তৃণমূল নেতারা মেরে খাক? তাই মানুষ টাকা তুলে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে রাখছেন। এর ফলে মানুষের মধ্যে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে’
সিঙুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোবিন্দ ধাড়ার দাবি, ‘সিঙুরে তো আরও অনেক জায়গায় তৃণমূল সমবায় চালাচ্ছে। সেখানে কোনও সমস্যা হচ্ছে নেই। যারা টাকা তুলে নিচ্ছেন, তারাই কয়েকদিন পরে আবার টাকা রাখবেন।’