Hooghly News:আবারও সিঙ্গুর সংবাদের শিরোনামে, জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলনের পথে চাষিরা

Newsbazar24:গোটা দেশের সাথে রাজ্যজুড়ে ও চলছে আরজি করের নৃশংস ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। অন্যদিকে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আবারো সরব হয়েছেন সিঙ্গুরের চাষীরা। যে সিঙ্গুর আন্দোলনের উপর ভর করে মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই সিঙ্গুর আন্দোলন এবার তার কাছে পথের কাঁটা হয়ে উঠছে। সিঙ্গুরে চাষের অযোগ্য জমিকে চাষের উপযোগী করতে দফায় দফায় সেখানে আন্দোলন, বিক্ষোভ চলছে। সেইসঙ্গে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ্ দাবি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে।
এবার সিঙ্গুরের জমি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকার মানুষদের। বেশ কিছু দিন ধরে সিঙ্গুরে নতুন করে যেন জমি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। বেশ কিছু মানুষকে ইদানিং বলতে শোনা যাচ্ছে ‘টাটার কারখানা এখানে খুবই দরকার ছিল’। এই সিঙ্গুর বহু সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। তবে আবারও নতুন করে সংবাদ শিরোনামে সেই সিঙ্গুর। এবার এই সিঙ্গুরের ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলনের প্রথমসারির নেতা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহাদেব দাস।
তিনি জানিয়েছেন, এক সময় একশো শতাংশ জমিই চাষ যোগ্য হিসাবে জমি ফেরত পেয়েছেন বলে বিবৃতি দিতে হত তাদের। দলের সন্মান রক্ষার জন্যই এই বিবৃতি দিতে হত বলে দাবি মহাদেব দাসের। স্বাভাবিকভাবেই ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে কৃষক আন্দোলনের নেতার দাবি ঘিরে সর্বত্র শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে সিঙ্গুর বান্ধ্যা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটির সদস্যরা বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বর্তমানে সিঙ্গুরে কয়েকশো একর জমিতে চাষ করা যায়না। কারণ এখনও অবধি সেগুলিকে চাষযোগ্য করে দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে সকলের যত অভিযোগ। আর এই ব্যাপারটি স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার। তাঁর মতে, “৬৫০ থেকে ৭০০ একর জমি বন্ধ্যা হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেছেন ৯১ শতাংশ জমিতে চাষ হচ্ছে। এতেই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। সেই সমস্যা মেটাতে চাইছি। বিধায়কের দাবি কতটা সত্য সেটার জন্যই কমিটির পক্ষ থেকে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। তিনি বিষয়টা বিবেচনা করে
দেখুন।”
মহাদেব দাস আরও জানান, “বাম সরকারের আমলে জমি অধিগ্রহণ হয়। কিন্তু নতুন সরকার আসার পরে জমি ফেরতের জন্য আইন আনা হয়েছিল। সেই আইন করেও জমি ফেরত দিতে গিয়েও সরকার আটকে গিয়েছিল। সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অধিগ্রহণ বাতিল হওয়ায় জমিকে চাষযোগ্য করে কৃষকের হাতে ফেরত দেওয়ার রাজ্য সরকারের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি চাষযোগ্য হওয়ার আগেই সরকার
এখান থেকে হাত তুলে নেয়।