Hooghly:আরামবাগে নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনীশ জৈন

আরামবাগে নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনীশ জৈন। গ্রামবাসীরা দাবি নিয়ে কথা বলতে গেলে অস্বীকার করেন প্রতিনিধিরা বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়েন মুখ্যসচিব। তীব্র ক্ষোভ ছড়ায় গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, আরামবাগের বন্যাপ্রবণ এলাকার নদীবাঁধের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে এসেছিলেন মুখ্যসচিব মনীশ জৈন। সাম্প্রতিক বন্যায় এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এবং দুর্বল নদীবাঁধগুলি গ্রামবাসীদের কাছে এক দীর্ঘস্থায়ী দুশ্চিন্তার কারণ। স্বাভাবিকভাবেই, মুখ্যসচিবের আগমন এলাকার মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছিল।
তারা ভেবেছিলেন তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো এবার নবান্নে পৌঁছাবে। সেটা না হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই তারা হতাশ। গ্রামবাসীরা যখন তাঁদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য এগিয়ে আসেন, তখনই নাকি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করে। তাঁরা মুখ্যসচিবের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা বঞ্চনা ও ক্ষোভ উগরে দেন।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় মুখ্যসচিব মনীশ জৈন এবং তাঁর সঙ্গীরা তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। এই ঘটনায় গোটা আরামবাগজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের মধ্যে এখনও এক বিরাট প্রতিবন্ধকতা গেছে।
এই ঘটনার পর আরামবাগের নদীবাঁধের কাজ এবং এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান কোন পথে এগোয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে গ্রামবাসীদের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নিশ্চিতভাবেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে এক কড়া বার্তা পৌঁছে দিল।