Fifa2022:দীর্ঘ ৩৬ বছর পর তৃতীয় বার বিশ্ব ফুটবলে জয় আর্জেন্টিনার, ফ্রান্সকে হারিয়ে

আর্জেন্টিনা (৩)(৪)- ফ্রান্স (৩)(২)

Newsbazar24:কাতারের দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে স্বপ্নের বিশ্বজয় আর্জেন্টিনার। ফ্রান্সকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ দখল করলো মেসিরা। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্টিনার। ১৯৮৬ সালে মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিয়ানরা। ২০২২ এ মেসির হাত ধরে আবার বিশ্বকাপ জয়। অতিরিক্ত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ৩-৩। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে পরাস্ত করে স্বপ্নের সোনালী কাপ ছিনিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস জয় আর্জেন্টিনার। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে তুলে নেয় স্বপ্নের সোনালী কাপ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের পর অবশেষে গোলের মুখ খোলে আর্জেন্টিনার। ম্যাচের ২১ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ডি মারিয়াকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ২৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ফের গোল আর্জেন্টিনার। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডান দিক থেকে পাস দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সেখান থেকে ফ্রান্সের জালে জড়ান ডি মারিয়া। ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতিতে ফলাফল আর্জেন্টিনার পক্ষে ২-০ ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে কোলো মোনিকে বক্সে ফাউল করার কারণে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। তার গোলে ম্যাচে ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিটে ফের গোল ফ্রান্সের। কোম্যানের পাস থেকে দুর্দান্ত শটে বল আবারও জালে জড়ান এমবাপ্পে। তার জোড়া গোলে ম্যাচে সমতা আনে ফ্রান্স। এমবাপ্পের গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৭। এরপর একাধিক চেষ্টা করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু’দল। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনাকে আরেকবার এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ১০৮ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনাকে ৩-২ গোলে লিড এনে দেয় লিওনেল। খেলার ১১৮ মিনিটের মাথায় ফের সমতা ফেরান এমবাপ্পে। ডি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় ফ্ৰান্স। পেনাল্টি থেকে হ্যাট্রিক করেন তিনি। এবার খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারের প্রথম শটে গোল এমবাপ্পে। এরপর আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল করেন মেসি। ফ্রান্সের কোম্যানের নেওয়া দ্বিতীয় শট রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শট থেকে গোল করেন পাওলো দিবালা। এরপর ফ্রান্সের পক্ষে শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় চুয়ামেনি। তবে আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় শট থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে আরও এগিয়ে নেন পারদেস। এরপর ফ্রান্সের পক্ষে চতুর্থ শট থেকে গোল করেন কোলো মোয়ানি। আর্জেন্টিনার পক্ষে চতুর্থ শট থেকে গোল করে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেন গঞ্জালো মন্টিয়েল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশকাপের শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা।