Dakshin Dinajpur news:ভোট প্রচারে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ফিরে এলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাপতি

Newsbazar24: বালুরঘাটে তৃণমূল নেত্রী তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা ভোট প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পালিয়ে এলেন।
বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটদেওরা গ্রামে প্রচারে যান তৃণমূল নেত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা। তাঁকে দেখেই গ্রামবাসীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রীতিমতো তাড়া করেন। ক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত গ্রাম থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বালুরঘাটের ছোটদেওরা গ্রাম যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামের পাশ দিয়ে বইছে কাশিয়াখাঁড়ি। গ্রামের একদিকে কাশিয়াডাঙা গ্রাম, আরেকদিকে দোগাছি ফরেস্ট। গ্রামে প্রায় ১০০ টি পরিবার রয়েছে। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪০০। বালুরঘাট শহরে যাবার কোন রাস্তা নেই। যেতে গেলে জমির আল ধরে দু’কিলোমিটার ঘুরে বড় রাস্তায় উঠতে হয়। অথচ ফরেস্টের ভিতর দিয়ে দোগাছি মোড়ে উঠে পাকা রাস্তা ধরলে খুব কম সময়েই বালুরঘাট শহরে পৌঁছে যাওয়া যায়। বর্ষায় এই নদী ভরে গেলে এই সহজ রাস্তা পার হওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। শিশুরা স্কুল যেতে ভয় পায়। এমনকী শিক্ষকরাও এই কাদামাখা রাস্তা ঠেলে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারেন না। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে কাশিয়াখাঁড়ির উপর সেতু নির্মাণ ও রাস্তার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু একের পর এক ভোট আসছে ও যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে শুধুমাত্র আশ্বাস মিলেছে। কেউ কোন কাজ করেনি। এতেই ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘আমাদের গ্রামে যাওয়া আসার রাস্তা নেই। গ্রামের কোনও উন্নয়ন নেই। আমাদের গ্রামের নাম শুনলে কেউ ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেন না। কারণ, রাস্তা নেই। আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিলে সব রাজনৈতিক দল গ্রামে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ভোট নিয়ে যায়। আমরা বারবার ঠকি। ভোটের পর কোনও দলের লোক আর গ্রামে আসে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা পর্যন্ত গ্রামে পা রাখে না। এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে নিয়ে আজ গ্রামে ভোট প্রচারে এসেছিলেন সভাধিপতি। আমরা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছি।’