News bazar24: ডিএ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে বিভিন্ন মোট পার্থ্যক্য শুরু হয়েছে , ঠিক তখনই একেবারে আইন দেখিয়ে কুণাল ঘোষের যুক্তি, “আমি একাধিক বর্ষীয়ান আইনজীবীদের যা ব্যাখ্যা শুনলাম তাতে পরিষ্কার ডিএ অধিকার নয়, এটা অনুদান। ফলে এই আইনি বিষয়টা মাথায় রেখে যদি সুস্থ মত আন্দোলন হয় তাহলে সবার জন্য মঙ্গল হবে। রাজ্য বাসীর জন্য ভালো হবে।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন দাবি করেন (Kunal Ghosh) ,রাজ্যের ‘বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে।’ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘ডিএ কোন কর্মীর অধিকার নয়, এটা অনুদান মাত্র ।’ রাজ্য নিজের সব দিক বজায় রেখে দিতে পারলে তবেই দেবে। কুনালের এই বক্তব্য সামনে আসতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানী থেকে পঞ্চায়েত স্তরের রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, ডিএ-র দাবিতে আগামী কাল ১০ মার্চ শুক্রবার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বনধের সমর্থনে এদিন শহরে দুটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে । একটির ডাক দিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। অন্যটির ডাক দিয়েছিল কলকাতা পুরনিগমের বাম ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রেডার্স ইউনিয়ন। আর এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলতে গিয়ে ঘুরিয়ে আন্দোলনকারীদের একহাত নিয়ে নিলেন কুণাল ঘোষ । খালি এই নয় ,
ইতিমধ্যেই আগামী ১০ মার্চ বকেয়া ডিএ-র (DA Agitation) দাবিতে যে বনধেরও ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা সেই কর্মী সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি (BJP)।
আজ মহাকরণে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ শুক্রবারের ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করেন। আর এতেই কুনাল ঘোষ সাংবাদিকদের
বলেন, যাঁরা ডিএ চাইছেন তাঁদের পরিবারের অনেক সদস্যই একাধিক সরকারি প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। যাঁর খরচ মমতা সরকারকেই টানতে হচ্ছে ।
প্র্রতিটি সরকারি কর্মীরা বিশেষ করে যারা ডিএ নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, তারা খুব ভাল করে জানেন কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষাকবচে তাঁর পরিবারও রয়েছে। যেটাও কিন্তু সরকারই চালাচ্ছে।