Newsbazar 24:আবারও রাজ্যে সিবিআই হানা। বুধবার পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি সিবিআই অভিযান অয়ন শীলের বাড়িতেও। সিভিক বডি নিয়োগে নানা অনিয়ম হয়েছে এবং একাধিক পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই এই অভিযান চালায় । সেই দুর্নীতির শিকড় খুঁজতে বাংলায় সিবিআই অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন পুরসভায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলারই ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। একযোগে দমদমের তিনটি পুরসভা দমদম, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, কাঁচরাপড়া, নিউ বারাকপুর, হালিশহর, শান্তিপুর-সহ মোট ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে হুগলির চুঁচুড়ায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের চুঁচুড়ার বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাঁর বাড়ি ও অফিস দুর্নীতির মূল উৎস বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অয়ন শীলের এবিএস ইনফোজেনের অফিসে তথ্যের খোঁজেই তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা।
সিবিআইয়ের ১০০ জন আধিকারিকরা ১৬টি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযান চালাচ্ছেন। তাঁরা ১৪টি পুরসভা এবং অয়ন শীলের বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালাচ্ছেন। ১১টার পর থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। তল্লাশি অভিযান ও পুরসভাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও চালানো হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে
অভিযোগ উঠেছে, পুরসভার চাকরি বিক্তি করা হয়েছে। রেটকার্ড নিয়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি। টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই। তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিবিআইয়ের এই অভিযান প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, তল্লাশির নামে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। অন্যায় না করলে ভয় পাব কেন। তিনি বলেন, ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে এই জন্যই যে দেশটা গব্বর সিং চালাচ্ছে তা বোঝানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, পুরসভায় কার কীভাবে দুর্নীতি তা মন্ত্রীর জানার কথা নয়। সবটাই হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।
সিবিআই সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন পুরসভা থেকে প্রচুর অবৈধ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।