Call of Vote Boycott:রাস্তা ও সেতুর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীদের

Newsbazar 24- স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এলাকায় তৈরি হয়নি পাকা রাস্তা এবং পাকা সেতু। এলাকার মানুষকে এখনো বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। এই দাবি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করেও তারা কোন সুফল পাননি। অবশেষে তারা চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলকে এবারে প্রার্থী হতে দেবেন না। এই মর্মে বুধবার সকালে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কার্যত বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে ‘ভোট বয়কটের’ ডাক দিলেন। এই ছবি দেখা গেল মালদহের হবিবপুরে ব্লকের মঙ্গলপুরা পঞ্চায়েতের অধীনে তিনটি গ্রাম রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর, রামকৃষ্ণপুরের। এদিন তারা মিছিল করে পুরো গ্রাম চত্বর জুড়ে পোস্টার লাগালেন। মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। তাদের একটাই দাবি দীর্ঘ দাবির বঞ্চনার শিকার তাঁরা বিভিন্ন মহলে দরবার করেও হয়নি কোন সুরাহা। তাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন।
এ বিষয়ে বঞ্চিত বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাকা রাস্তা এবং স্থায়ী দুটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই মর্মে বাসিন্দারা দীর্ঘ নয় মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু প্রশাসন এবং কোন জনপ্রতিনিধিরা তাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত বঞ্চনার পর আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাধাকান্তপুর বুথের প্রায় ১৫০০ ভোটার ভোট দান থেকে বিরত থাকবেন। কারণ একটাই আগে উন্নয়ন পরে ভোট, এই দাবি নিয়ে তাদের তিনটি গ্রামের সর্বদলীয় ভাবে কেউই কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা করবেন না। এমনকি বাসিন্দাদের অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের ছায়া টুকু এসে পড়েনি এই দুর্গম এলাকায়। কার্যত গোটা এলাকা জুড়ে ভোট বয়কটের ডাক পড়তেই শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী শিবিরে রাজনৈতিক চাপান উতোর। এ বিষয়ে সংসদ খগেন মুর্মু বলেন মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে এমপি ফান্ডের টাকা দিয়ে অনেক কাজই করা হয়েছে। তবে তাদের রাস্তা এবং ব্রিজের দাবি সঠিক। রাস্তা এবং বড় ব্রিজ করতে গেলে রাজ্য সরকারকে দিশা কমিটির কমিটির মিটিং ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে হয়। এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত কোন জেলাশাসক বা রাজ্য সরকার এই দিশা কমিটির মিটিং ডাকেননি, প্রস্তাব পাঠানো তো দূরের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষ বঞ্চিত থেকে গেছে। এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই গ্রামের মানুষগুলোকে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে ভোট বয়কটের।