Burdwan:১৩ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়ার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বদলির নির্দেশ বিচারকের

Newsbazar24:গতকাল বর্ধমান আদালতের ফার্স্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পুরানো মামলার রায়ে বর্ধমানের তাবড় তাবড় ১৩ জন তৃণমূল নেতা নেত্রীদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায়ের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বদলির নির্দেশ বিচারক অরবিন্দ মিশ্রের। স্বাভাবিকভাবেই এই বদলির নির্দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে আদালত জুড়ে।
জানা গেছে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের এক নির্দেশে অরবিন্দ মিশ্রকে ঝাড়গ্রামের সেকেন্ড কোর্টের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ পদে যোগ দেবার আদেশ দেওয়া হয়েছে
প্রসঙ্গত, বিচারক অরবিন্দ্র মিশ্র সোমবার বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলি তা, বর্ধমান ১ ব্লকের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, দুই তৃণমূল নেতা শেখ জামাল, কার্তিক বাগ-সহ ১৩ জনকে হেফাজতে নেবার নির্দেশ দেন। তারপর ওই ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
মঙ্গলবার তার রায়ে বিচারক আবার ১৩ জনকে আগামিকাল সশরীরে বা ভিডিও কনফারেন্স মারফত হাজির করার জন্য সংশোধনাগারের সুপারকে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সরকারি পক্ষের আইনজীবী হরিদাস মুখার্জি ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জানান, অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে চারজন শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে উপস্থিত হন নি।আদালত তাদের আগামীকাল সশরীরে বা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও এই ঘটনায় সিনিয়র আইনজীবী সদন তা ও বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, এই বদলি রুটিন বদলি। এর মধ্যে অন্য কিছু খোঁজার চেষ্টা করা অর্থহীন । তিনি বর্ধমানে ফার্স্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক ছিলেন। তিনি এ ডি জে পদে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এটা তার পদোন্নতি। উনি একা নন, শতাধিক বিচারক বদলি হয়েছেন। হাইকোর্ট কাউকে বদলি করতেই পারে। যতদিন না অন্য কেউ তার পদে যোগ দেন। তিনি স্বপদেই থাকবেন। তাই আগামিকাল তিনি চূড়ান্ত রায় দিতেও পারবেন।
বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু করে দিয়েছে।
। বিজেপি জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,“ নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলেই বন্দি তৃণমূলের তাবড় নেতা নেত্রীরা।তিনি আরো বলেন শাসকদলের বিরুদ্ধে যারাই যাবেন, তাদেরই এই অবস্থা হবে। আগে পুলিসের ক্ষেত্রে হয়েছে, এবারে বিচারকের ক্ষেত্রে হল। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, যেদিনই উনি রায় দিলেন তার পরের দিনই বদলির নির্দেশ এল।
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা রুটিন বদলি। রায়ের সাথে এর কোনোও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথেই চলবে। বিজেপি যে দাবি করছে তার কোনও ভিত্তি নেই।