Balurghat news:শাস্তিস্বরূপ দন্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদান করানো হল আদিবাসী মহিলাদের, বিতর্ক তুংগে

Newsbazar 24: বিজেপিতে যোগ দিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৃনমুলে ফিরে আসার ইচ্ছা । কিন্তু বিজেপিতে যোগদান করার শাস্তিস্বরূপ সারা শহর দণ্ডীকাটতে হল। প্রায়শ্চিত্ত করতে জেলা বিজেপি অফিস থেকে জেলা তৃন্মুল অফিস পর্যন্ত দন্ডী কাটলেন দলে ফিরতে ইচ্ছুক আদিবাসী মহিলারা। বালুরঘাট কোর্ট মোড় এর বিজেপি অফিসের সামনে থেকে কাঠালপাড়ায় অবস্থিত তৃণমূল জেলা কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দন্ডী কেটে যোগদান করার ছাড়পত্র পেলেন তিন-চারজন আদিবাসী মহিলা। শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় রাস্তাতে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত বালুরঘাটবাসী।। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাধ শনকইর গ্রামের প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন বলে বিজেপি দাবি করেছে। আজ সেই সমস্ত বিজেপিতে যোগদান করা মানুষজন পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করছেন বলে দাবি করেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও এদিন জনাচারেক মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যায়। মহিলা তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী জানান, এদিন কয়েকজন যোগ দিয়েছেন বাকিরা আগামী যোগ দেবেন। ওদের দ্রুত বোধোদয় হয়েছে।
অপরদিকে বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি ষষ্ঠী ভট্টাচার্য ভাষার জানান, ওই মহিলাদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, রাজনৈতিক চাপে পড়ে ২০০ জনের মধ্যে মাত্র তিন-চারজনকে ফিরিয়ে এনেছে। তবে যেভাবে মহিলাদের রাস্তায় নাক খত দিয়ে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা মহিলাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত লজ্জা কর ও অপমানজনক। বিষয়টা নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানান।
তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে না জানিয়েই এই যোগদান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দন্ডী কাটিয়ে দলে যোগ দেওয়ার কোন রীতি নেই। জেলা নেতৃত্ব ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন