newsbazar 24:: ১০ বছরের বয়সে বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হলেন অশোকনগরের বাসিন্দা হিরণ চক্রবর্তী । সাম্মানিক ডক্টরেট পেল ঐ বালক ।আদতে সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। দু’বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে গৃহবন্দি এই শিক্ষার্থীর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ র ও বেশি পুরস্কার তার ঝুলিতে।।
লকডাউনের মধ্যেও ঘরে বসে থেকে সে তার চর্চা চালিয়ে গেছে। এবং তার ফল ও সে পেয়েছে ।হত। করোনা মহামারিতে শিশুদের হতাশা কাটাতে এবং মানসিক উন্নয়ন ঘটাতে শুরু হয়েছে অনলাইন প্রতিযোগিতা।
বিভিন্ন স্তরে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি সাংষ্কৃতিক সংস্থা গান, নাচ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রতিভা খুজেঁ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শতাধিক সেরার শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়েছে হিরণ।
১৫টি রাজ্য থেকে দুই শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে সে। এছাড়া অন্যান্য পুরস্কার মিলিয়ে তার ঝুলিতে চার শতাধিকের বেশি পুরস্কার রয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ড খেতাব পায় সে।
সম্প্রতি সরকার অনুমোদিত হরিয়ানার একটি সংস্থা তাকে সম্মান সূচক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছে। এই বয়সেই হিরণ ১১টি ডান্স ফর্ম দারুনভাবে আয়ত্ত করেছে। ক্রিয়েটিভ, রিজিওনাল,ফোক, মর্ডান ,বলিউড হিপহপ, সালসা ,ভরতনাট্যমসহ বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষায় ডান্স ফর্ম ভালোভাবে রপ্ত করেছে সে। আর তাতেই মিলেছে একের পর এক শিরোপা।
করোনায় অনেকে অনেক কিছু হারিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও অনেক প্রতিভা তৈরি হয়েছে। তারই জ্বলন্ত উদাহরণ হিরণ। সম্প্রতি দিঘাতে ইন্দো-বাংলা আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ বেশকিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানেও তার নাচ সবার নজর কেড়েছে এবং সেই প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। বড় হয়ে ভালো নৃত্যশিল্পী হতে চায় হিরণ। তার এই সাফল্যে তার মা রুমকি চক্রবর্তী খুশি হয়ে বলেন
‘করোনায় যখন গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল সবাই তখন মনে হয়েছিল ছেলে কিভাবে নাচটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একের পর সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছে সে।’ দেড় বছর বয়স থেকেই নাচের প্রতি আগ্রহ হিরণের।