Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

newsbazar 24 :: আগামী শনিবার (৩১শে আগস্ট), শুভ জন্মাষ্টমী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এটি। পঞ্জিকা অনুসারে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হলে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়।  

সনাতন ধর্ম মতে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় কৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের ভাব ও দর্শন যুগ যুগ ধরে হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। কৃষ্ণের প্রেমিকরূপের পরিচয় পাওয়া যায় তার বৃন্দাবন লীলায়, যা বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল প্রেরনা। ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পরোপকারী, প্রেমিক, রাজনীতিক ও সমাজসংস্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তা জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজে লাগানো উচিত এ কথা   সব ধর্মাবলম্বীদের মনে রাখা উচিত ।

 প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি দেশজুড়ে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সব প্রকার সমাবেশ, শোভাযাত্রা বন্ধ রাখা সহ স্বাস্থ্যবিধি ও বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে আগামী ৩০ আগস্ট সনাতন ধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাবতিথি শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

শুভ জন্মাষ্টমীর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী দেশের সব জেলা এবং মহানগর পূজা কমিটির প্রতি এই অনুরোধ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে , সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহাবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ আবির্ভাবতিথি জন্মাষ্টমী উৎসব আগামী ৩০ আগস্ট ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছরের মার্চ মাসের মধ্যভাগ থেকে বাংলাদেশও করোনা সংক্রমণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে করোনা পরিস্থিতির সংক্রমণের হার কিছুটা স্তিমিত হলেও বর্তমানে এই সংক্রমণের হারের পুনঃঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সরকার জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে মাঝে মাঝে বিধিনিষেধ/লকডাউন প্রয়োগের মাধ্যমে এ সংক্রমণের হারকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

কিন্তু জনগণের বৃহদাংশের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতা সরকারের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে, যদিও সরকার এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। এর পরেও এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ করোনা অতিমারির হট স্পট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এমতাবস্থায় সরকারের সময়ে সময়ে ঘোষিত স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নীতিমালার আলোকে নিজেদের জীবনাচারে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দির/দেবালয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি পালনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করার অনুরোধ জানান তারা।

১। মন্দির/দেবালয়ের প্রবেশদ্বারে মন্দির কর্তৃপক্ষ হাত ধােয়ার ও স্যানিটাইজেশনের প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২। দর্শনার্থী/ভক্ত এবং মন্দিরে অবস্থানকারী পুরােহিতসহ সকলকে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে।

৩। মন্দির/দেবালয়ে আগত ও অবস্থানরত সকলকে সরকার ঘােষিত নির্দেশনার আলােকে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

৪। মন্দির/দেবালয়ে অপ্রয়ােজনীয় কারণে জনসমাগম পরিহার করতে হবে এবং দীর্ঘকাল অবস্থান না করার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

৫। একান্ত জরুরি না হলে মন্দিদেবালয়ে গমনে বিরত রেখে ঘরে থেকে প্রার্থনা করা যেতে পারে।

৬। শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সকল প্রকার সমাবেশ, শােভাযাত্রা/মিছিল থেকে বিরত থাকতে হবে

৭। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, অন্যকে সুরক্ষিত থাকতে সহযােগিতা করুন।

৮। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

৯। করােনা সংক্রমণ পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয় তাহলে ১১ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিতব্য শ্রীশ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে যথাসময়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সকল স্তরের শাখা কমিটিসমূহ আওতাধীন সকল মন্দির/দেবালয় কর্তৃপক্ষকে উপরােক্ত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলতে সহযােগিতা করবেন এবং উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে পরিষদের সকল স্তরের কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে সমন্বয় সাধন করবেন বলে আশা রাখে।

 

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

সম্পর্কিত খবর