Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

পূর্ববর্তী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের পর সুপার টাইফুন ‘রাই’-র আঘাতে ফিলিপাইন লন্ডভন্ড, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০০র কাছাকাছি।।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

 newsbazar 24 ::সুপার টাইফুন ‘রাই’-র আঘাতে ফিলিপাইন লন্ডভন্ড। আরব নিউজ সূত্রে জানা যায় ,মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক হাজার একশ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৬৪ জনের বেশি। নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে উদ্ধার কাজ। টাইফুনটিতে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাই। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর অঞ্চলটিতে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। প্লাবিত হয় বহু গ্রাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বহু এলাকা। টাইফুনের আঘাতে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসব সবকিছুই বিধ্বস্ত হয়েছে। বাড়িঘর ও সৈকতের রিসোর্টগুলো থেকে তিন লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

দুর্যোগকবলিত এলাকায় এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন পুলিশের সঙ্গে সেই দেশের বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কয়েক হাজার সংশ্লিষ্ট সদস্য উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।

জানা গেছে, সুপার টাইফুন রাই ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। টাইফুনে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বোহোল রাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানেই মারা গেছেন ৪৯ জন। ঘূর্ণিঝড় রাই-র আঘাতে চার লাখ ৯০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দেশটিতে।

এদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তেতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪০ কোটি মিলিয়ন ডলার ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রাইয়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি ফিলিপাইনের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় দেশটিতে ২০১৩ সালে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান। হাইয়ানকে ফিলিপাইনে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় মনে করা হয়। এ ঘূর্ণিঝড়ে সাত হাজার তিনশ’র বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছিলেন।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

সম্পর্কিত খবর