newsbazar 24 ::আসন্ন দুর্গাপজার আনন্দ উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি বেরিয়ে পড়েন কোথাও না কোথাও। কেউ যান পাহাড়ে কেউ বা যান জঙ্গলে। যারা সবুজের মাঝে কয়েকটা দিন কাটাতে চান তাহলে চলে আসুন চালসা মহাবাড়ি। যাকে ডুয়ার্সের প্রবেশদ্বার বলে অভিহিত করা যায়।। সঙ্গে কিন্তু অবশ্যই ভ্যাক্সিনেশন নেওয়ার সার্টিফিকেটটা রাখবেন।
চালসা মহাবাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। মেটেলি থানার অন্তর্গত ব্লক সদর মূর্তি এবং ঝালং নদী দিয়ে বেষ্টিত।হিমালয়ের পাদদেশে ডুয়ার্সের অন্তগত এই নাতিদীর্ঘ নগরের একদিকে রয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান, অন্যদিকে চাপড়ামারি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। চা বাগান, নদী, জলাশয় ও সুবিশাল সবুজের সমারোহে ঘেরা এই অঞ্চল এক অপার সৌন্দর্য্যের মূর্ত প্রতীক।
কীভাবে যাবেন চালসা মহাবাড়ি।যাঁরা ট্রেনে করে যাবেন তাঁদের নামতে হবে চালসা স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো কিংবা গাড়িতে যেতে হবে মূর্তি কিংবা ঝালং। জলপাইগুড়ি জেলার চালসা মহাবাড়ি নগরটি ১৭ নম্বর ও ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে । তাই কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে সড়ক পথে পৌঁছে যাওয়া যাবে চালসা। কলকাতা থেকে বাসেও যাওয়া যাবে সেখানে। যাঁরা ট্রেনে করে পাড়ি দেবেন, তাঁদের নামতে হবে চালসা স্টেশনে।
চালসা থেকে ডুয়ার্স পরিক্রমার পরিকল্পনা নিতে পারেন । কারণ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ঘুরতে যাওয়ার বেস ক্যাম্প কিন্তু চালসাই।
চালসার মূল আকর্ষণ মূর্তি ও ঝালং নদীর সৌন্দর্য্য। স্বচ্ছ জলে নুড়ি, পাথরের চলন দেখার মজাই আলাদা। একদিকে চা বাগান এবং ঘন অরণ্যের মাঝে নগরের শোভা অকৃত্রিম আকার ধারণ করেছে। এ নদীতেই মাঝে সাঝে জল খেতে আসে হাতির পাল। কখনও সখনও দেখা মেলে চিতাবাঘ, হরিণেরও। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে তাদের দেখা পেতে পারেন আপনিও। গভীর রাতে শুনতে পারেন গর্জন। আচমকাই রাস্তার মাঝে চলে আসা কালো বাইসন মনকে শঙ্কিত করতে পারে। জ্যোৎস্না রাতে মূর্তির বুকে চাঁদের খেলা আপনাকে অন্য ভাবনার দেশে নিয়ে যেতে বাধ্য করে। চাইলে মূর্তির শীতল জলে পা ডুবিয়ে ছবি তুলতে পারেন আপনিও। তবে ঘন অরণ্য ও বন্য জন্তুদের কাছে না যাওয়াই শ্রেয়। কোনও কিছু না দেখে কেবল এখানেই এক রাত কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে।
যেহেতু ডুয়ার্স কেন্দ্রিক পর্যটনের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠা চালসায় রয়েছে পর্যটকদের থাকবার নানা ব্যবস্থা। হোটেলের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক হোম স্টে। অন্যদিকে চালসা সংযুক্ত চাপরামারি, গরুমারায় রয়েছে বন দফতরের বাংলো। তবে আগে থেকে ঘর বুক করে না নিলে ঘর পাবেন না।