newsbazar 24 ::আর এক সপ্তাহ পর দীপাবলি উৎসব। দীপাবলি অর্থাৎ কালী পূজার প্রধান আকর্ষণ মাটির প্রদীপ ।এই প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত মালদহের কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা। পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রশিলাদহ মণ্ডলপাড়ায় চলছে চরম ব্যস্ততা। এই এই বিষয়ে ওই কুমোর পাড়ার এক মৃৎ শিল্পী পলি পাল জানান, এই পাড়ায় বর্তমানে মাত্র ৭/৮ ঘর মৃৎশিল্পীরা রয়েছেন। তিনি জানান দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে মাটির কাজ করে আসছেন তাঁরা। করোনার আবহের জন্য তাদের ব্যবসা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তার উপরে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। কাঁচামালও নষ্ট হয়েছে অনেকটাই।
শিল্পীর অভিযোগ আগের মত ইদানিং আর মুনাফা মেলে না। বর্তমানে মাটির প্রদীপ তৈরি করে লাভ খুব কম। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তার উপর বর্তমানে বৈদ্যুতিক বিভিন্ন টুনি বাল্ব বাজারে চলে আসায় মাটির প্রদীপের চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু তবুও প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ হাজার মাটির প্রদীপ তৈরি করেন তাঁরা। এই মাটির প্রদীপগুলি পাইকারি বিক্রি করা হয় ৫০০ টাকায় এক হাজার পিস।
তার দাবি এতদিন থেকে তাঁরা এই কাজে যুক্ত থাকলেও কোনো রকম শিল্পীর পরিচয়পত্র হয়নি বা শিল্পী হিসাবে কোন ধরনের সরকারি সহযোগিতাও পাননি রাজ্য সরকারের তরফে।
পুরানে আছে, চোদ্দ বছরের বনবাস শেষে রামচন্দ্র যেদিন ফিরেছিলেন , সেদিন শহরে দীপাবলী উৎসব পালন করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেইজন্য এখনও কালীপুজোর আগে লোকেরা বাড়ি অলোকমালায় সাজিয়ে তোলেন । কিন্তু মাটির প্রদীপ কী আর জ্বালানো হয়! চিনের তৈরি এলইডি লাইটের কদরই বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই নিরাশায় রয়েছেন মালদহের এই শিল্পীরা। এলাকায় বছরভর প্রদীপ-সহ মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে এই পরিবারগুলি। কালীপুজোর আগে ব্যস্ততা বেড়েছে তাঁদের। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কাজ করে চলেছে মৃৎশিল্পীরা। বিভিন্ন রকমের প্রদীপ তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে।