news bazar24: নিয়োগী বাড়ির সদস্যদের এক অদ্ভুত নিয়ম এ পুজার চলের রীতি আছে শত্রুর গালে চুনকালি মাখিয়ে দুর্গার সামনে বলি দেন তারা। বহু বছর ধরে জলপাইগুড়ির নিয়োগী বাড়িতে এই নিয়ম চলে আসছে ৷ নিয়োগী বাড়ির পুজের এই রীতি “শত্রুবলি” নামেই পতিচিত জলপাইগুড়ির কামারপাড়ায় । এবার 212 বছরে পা দেবে এই বাড়ির পুজো ৷ পুজার সূচনা 1808 সালে বাংলাদেশের পাটগ্রামে । প্রথম দিকে 1952 সালে কলকাতার ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক লেনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো । পরে সেখান থেকে আসে জলপাইগুড়ির বাড়িতে ৷ পুজোর নিয়ম একটু অন্যরকম আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির তুলনাই তা পূজার রীতি নীতি শুনলেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ নবমীর দিন মা দুর্গার সামনে মুখে কালি মাখিয়ে শত্রুবলি রীতি পালিত হয় ৷ বাড়ির সদস্যদের থেকে জানা গেল আরেকটি বিষয়– কলাগাছের থোড় এক হাত মাপের মতো কেটে নিয়ে চালের গুড়ো দিয়ে মানুষের অবয়ব বানানো হয় । আর তার একগালে মাখানো হয় কালি । বিষয়টি সত্যি ভীষণ অন্যরকম চুন–হলুদ দিয়ে রক্তের রং দেওয়া হয় । বলির পর থোড়রূপী এই শত্রুকে দুই খণ্ড করে বাড়ির বাইরে ছুঁড়ে দিয়ে শ্ত্রু নিধন পর্ব সমাপ্ত হয় ।পরিবারের সদস্য শ্রীমন্তি নিয়োগী জানিয়েছেন অতসী ফুলের রঙে দুর্গা প্রতিমার রং সুসজ্জিত হয়ে ওঠে। দুর্গার ডানপাশে থাকে সরস্বতী ও গণেশ ৷ বামদিকে লক্ষ্মী এবং কার্তিক । নিয়ম মত মহালয়ার পরদিন ঘট স্থাপনা হয় । পঞ্চমীতে মনসা পুজাে করা হয় । সপ্তমী এবং অষ্টমীর সন্ধি মুহূর্তে কালীপুজো করা হয় । এসব নিয়মগুলো বনেদি বাড়ির পুজার তালিকায় নিয়োগী বাড়ির পুজো এক অন্নতম যায়গা করে নিয়েছি । পূর্বে কলকাতা থেকে প্রতিমা শিল্পিদের নিয়ে এলেও বর্তমানে জলপাইগুড়ির স্থানীয় শিল্পীরাই প্রতিমা গড়েন । পুজোর ভোগ হিসেবে উপস্থাপনা করা হয় অন্ন ভোগ, হাতে তৈরি নাড়ু, মিষ্টি ও মোয়া দেওয়া হয় ।রীতি অনুযায়ী এবারও পারিবারিক পত্রিকা “জ্যোতি“র আত্মপ্রকাশ হবে নবমীর দিন । আগে হাতে লিখে প্রকাশিত হত এই পত্রিকা ৷ পরিবারের সদস্যরাই পত্রিকার পাতায় ছবি আঁকতেন ৷ এখনও প্রচ্ছদ থেকে সবকিছুই করেন নিয়োগী পরিবারের সদস্যরাই ৷পাথুরিয়াঘাটার ঘোষ বাড়ির পুজো ঐতিহ্যবাহী বনেদি বাড়ির মধ্যে অন্যতম একটি ।