news bazar 24 : হিন্দুদের একটি পবিত্র ধর্মীয় মহাউৎসব দীপাবলি, বা, দেওয়ালি । সারা বিশ্বে জুড়ে এই আলোর উৎসব পালিত হয়।
হিন্দু শাস্ত্র মতে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয় কার্তিক মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয় । কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষে, দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।ধন মানে সম্পদ আর তেরাস কথার অর্থ হল ত্রয়োদশী। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৩তম দিন পালন করা হয় ধনতেরাস।
দীপাবলি নামটির সাথে জড়িয়ে আছে প্রদীপের নাম। অর্থ প্রচুর প্রদীপ। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই দিন ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালালে মঙ্গল হয়। বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সারা রাত প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে লক্ষ্মী আসেন বলে তারা বিশ্বাস করেন। বাংলায় দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই উৎসব সাড়ম্বরে আলোর উৎসব হিসেবে পালিত হয়।
জানা যায় ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে কাশীনাথ রচিত গ্রন্থে এই পুজোর সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত আছে, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অষ্টাদশ শতকে তার সকল প্রজাকে শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করে কালীপুজো করতে বাধ্য করেন। এই উৎসবের শুরুর দিন পালন করা হয় ধনতেরাস উৎসব।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, প্রতিটি দিনের আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে । একইসঙ্গে প্রতিটি বস্তুর মধ্যে রয়েছে অন্তর্নিহিত শক্তি। এই শক্তি ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুই ধরনেরই হতে পারে। তাই শাস্ত্রকারদের মতে, দীপাবলির মত শুভ তিথিতে কিছু কিছু বিধিনিষেধ থাকে । কখনই কারও থেকে এই জিনিসগুলি ধার হিসেব নেবেনা, তাতে হতে পারে মহা বিপদ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিধিনিষেধ গুলি কী কী-
ধনতেরাসের দিন কখনওই অন্যের থেকে অর্থ ধার নেবেন না। এই দিনে টাকা ধার নেওয়া মানেই দুর্ভাগ্যকে ডেকে নেওয়া। এতে আর্থিক উন্নতির যোগ ব্যপকভাবে বাধা প্রাপ্ত হয়।
এইদিনে কারও ঘড়ি পছন্দ হলেও ব্যবহার করবেন না। নিজেরটাই পড়ুন। এইদিনে অন্যের ঘড়ি ব্যাবহার করা মানে খারাপ সময়কে আহ্বান জানানো।
এইদিনে অন্যের জামা-কাপড়ও ব্যবহার করতে নেই। নিজের যা আছে তাই পড়ুন। অন্যের জামা কাপড় পড়লে আপনার মধ্যে নেতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হবে। এইদিন কখনই কারও থেকে কলম ধার নেবেন না। যদিও বা প্রয়োজন হয় তা তৎক্ষনাত ফিরিয়ে দিন।