Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

করোনার রোষে ” দুয়ারে সরকার ” । প্রতি ১০০ জনে প্রায় ২৫ জনেরই রিপোর্ট পজিটিভ

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

news bazar24: যে কোন দিন  রাজ্যে  সুনামির গতিতে আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। এমন কি দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের গণ্ডি পেরোতে হয়ত অল্প কয়েকদিনের অপেক্ষা  । পরিস্থিতি এখন সেই দিকেই এগোচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা দাবি করছেন । গতকাল শুক্রবার শুধু কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৯৫৪ জন।  কলকাতায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০৪ জন।

অর্থাৎ পাঁচ দিনে কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ১০ গুণ বেড়েছে। তথ্য যা পাওয়া গেছে  কলকাতায় এখন সংক্রমণের হার ২৩.‌৪২ শতাংশে। অর্থাৎ যাঁরা করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে প্রায় ২৫ জনেরই রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। 

এঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশের আরটিপিসিআই পরীক্ষা করানো হয়েছে। ১০ শতাংশের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছে। অনেক চিকিৎসকই মনে করছেন, কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে এই হার লাফিয়ে বেড়ে যাবে। কারণ উপসর্গ না থাকায় বহু মানুষ কোভিড পরীক্ষাই করাচ্ছেন না। 

বন্ধ করা হতে পারে বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল। নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে রাতের গতিবিধি। সূত্রের খবর তেমনই। ২ জানুয়ারি থেকে দুয়ারে সরকার ক্য়াম্প না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। বাতিল হয়ে গিয়েছে ৩ জানুয়ারি, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছাত্র সপ্তাহ পালনের অনুষ্ঠানও।

এদিকে রাজ্য  স্বাস্থ্য দফতরের মতে, আজ, শনিবার তৃতীয় ঢেউয়ের ষষ্ঠ দিন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই সাড়ে ৬ হাজার গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি যতই ভয়াবহ হোক, আমরা প্রস্তুত। সমস্ত বড় হাসপাতালগুলিকে ৫০ শতাংশ বেড় বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউ-র সময়ে যত সংখ্যক বেড ছিল, ১ সপ্তাহের মধ্যে তার ৫০ শতাংশ ও ২ সপ্তাহের মধ্যে ১০০ শতাংশ বেডই পুর্নব্যবহার করতে হবে। তবে সূত্রের খবর  ২ জানুয়ারি থেকে দুয়ারে সরকার ক্য়াম্প না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। বাতিল হয়ে গিয়েছে ৩ জানুয়ারি, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছাত্র সপ্তাহ পালনের অনুষ্ঠানও।

সারা দেশে সংক্রমণের হারে প্রথম হিমাচলের লাহৌল–স্পিতি। এবং কলকাতা দ্বিতীয়।  হিমাচল প্রদেশ কলকাতার থেকে মাত্র এক শতাংশ বেশি। 

রাজ্যে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৪৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। তার মধ্যে চার জনই কলকাতার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা ছিল ১২। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৭৭১ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২,৬৪৪ জন।

 

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

সম্পর্কিত খবর