Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

আপনি কি শনিদেবের সাড়ে সাতী তে প্রভাবিত । জেনে নিন কি করে পাবেন মুক্তি ?

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

শাস্ত্র মতে শনি দেব হলেন একজন কঠোর শিক্ষক। যিনি নানা কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে একজনকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলেন যে জীবনে চলার পথে তার আর কোনও সমস্যাই হয় না।  – উদয় পাঠক

জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে যার কুষ্টিতে শনির মহাদশার যোগ রয়েছে তার টানা সাড়ে সাত বছর খুব একটা ভাল কাটে না। এক্ষেত্রে সাফল্য আসতে দেরি হয়। সেই সঙ্গে মন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, কোনও কাজে মন না লাগা এবং আরও নানা সব বাঁধার সম্মুখিন হতে হয় জাতক-জাতিকাদের। এক কথায় অন্ধকার নেমে আসে জীবনে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে বেজায় কষ্টের সম্মুখিন হতে হয়। এখন প্রশ্ন হল এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়? এই প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে এই প্রবন্ধে। তবে তার আগে শনির মহাদশা কী, সে সম্পর্কে আরও একটু গভীরে গিয়ে জানার চেষ্টা করা হোক।

শাস্ত্র মতে শনি দেব হলেন একজন কঠোর শিক্ষক। যিনি নানা কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে একজনকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলেন যে জীবনে চলার পথে তার আর কোনও সমস্যাই হয় না। তাই শনির মহাদশাকে জীবনের সবথেকে ভয়ঙ্কর সময় হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকলেও বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় কিন্তু আদতে নিজেকে আরও বেশি করে কর্মক্ষম করে তোলার সময়। এক কথায় শনি দেব নানা সমস্যার সৃষ্টি করে জাতক-জাতিকাদের ঘুর পতে সাফল্যের আরও সামনে নিয়ে যান। আর একথা তো শাস্ত্রেও লেখা আছে যে যতক্ষণ না কেউ সমস্যার সম্মুখিন হয়, ততক্ষণ নিজেকে চেনা, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া সম্ভবই হয় না। এবার বুঝেছেন তো শনির মহাদশাকে আমরা যতই ভয় করি না।

জীবনের এই সময়টা আসলে আশীর্বাদ মাত্র। তবু একটা কথা মানতেই হবে যে শনির দশা চলাকালীন অনেকের পক্ষেই সেই কষ্ট সহ্য করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই একান্তই যদি দেখেন নানা অসফলার মাঝে নিজের মনকে সামলে রাখতে পারছেন না, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত পদ্ধতিগুলির অনুসরণ করা শুরু করুন। দেখবেন শনির সাড়ে সাতি কাটতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল..

১. দেবাদিদেবের পুজো করতে হবে:

শাস্ত্র মতে শনিদেব হলেন ভগবান শিবের ভক্ত। তাই তো শনির মহাদশা চলাকালীন যদি নিয়মিত ভগবান শিবের পুজো করা যায় তাহলে শনি দেবের প্রভাব কমতে সময় লাগে না। তাই আপনার বার্থ চার্টে যদি শনির মহাদশার যোগ থাকে, তাহলে সময় নষ্ট না করে ভগবান শিবের পুজো করা শুরু করুন। সেই সঙ্গে সোম এবং শনিবার দুধ এবং জল দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

২. হনুমান জির পুজো করা জরুরি:

 প্রাচীন শাস্ত্রে একটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। একবার রাবন তার পুত্র মেঘনাথকে অজেয় বানানোর আশীর্বাদ লাভের উদ্দেশ্যে কঠোর তপস্যা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এমন আশীর্বাদ রাবনের পুত্রকে একেবারেই দিতে চাইছিলেন না শিব এবং বিষ্ণু। এ খবর রাবনের কানে পৌঁছানো মাত্র তিনি নটি গ্রহকে অপহরণ করে লঙ্কার এক গোপন স্থানে বন্দি করে রাখেন। এই সময়ই শ্রী হনুমান মা সীতার খোঁজে লঙ্কায় এসে পৌঁছান। আর ঘটনা চক্রে খোঁজ পেয়ে যান সেই গোপন কুঠুরির। সব কথা শেনার পর তিনি মুক্তি দেব নব গ্রহদের, যার অন্যতম ছিলেন শনি দেব। এমন সাহায্যে করার জন্য শনি দেব এতটাই প্রসন্ন হয়েছিলেন যে শ্রী হনুমানকে অশীর্বাদ করেন যে তাঁর এবং তাঁর শিষ্যদের উপর কোনও দিন শনির খারাপ প্রভাব পরবে না। তাই তো শনির মহাদশা চলাকালীন মারুথির পুজো করলে খারাপ সময় কাটতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার হনুমান জি-এর পুজো করা শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে ফল মিলবে আরও দ্রুত।

৩. কালো তিল:

 এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার দুধের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে শিব লিঙ্গের অভিষেক করলে শনির সাড়ে সাতি কাটতে শুরু করে। আসলে যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ভগবান শিবের ভক্ত হলেন শনি। তাই গুরুর পুজো করলে শিষ্যের প্রভাব কাটতে সময় লাগে না। 

৪. কালো উরাদ ডাল:

 শনিবার গরিব মানুষদের কালো উরাদ ডাল দান করলে শনি দেব খুব প্রসন্ন হন। ফলে তার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এই কারাণেই যাদের কুষ্টিতে শনির মহাদশার উল্লেখ রয়েছে, তাদের এই উপদেশটি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, কালো উরাদ ডাল দান করার পাশাপাশি নদিতে যদি অল্প করে এই বিশেষ ডালটি ভাসানো যায়স তাহলে দারুন উপকার মেলে।

 ৫. সরষের তেল:

 শাস্ত্র মতে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো সরষের তেল নিয়ে তাতে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে যদি তা দান করা যায়, তাহলে শনি দেবের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এই কাজটি করতে হবে প্রতি শনিবার, তবেই মিলবে গরিব ফল।

৬. খিচুরি:

শনির সাড়েসাতি চালাকালীন প্রতি শনিবার খিচুড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে। শুধু তাই নয়, খেয়াল করে সেদিন সব ধরনের নিরামিষ খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন। তাহলে দেখবেন শনি দেবের প্রভাব কাটতে সময় লাগবে না। কারণ এই বিশেষ সময়ে শনি দেব, জাতক-জাতিকাদের জীবনের সবথেকে কঠিন সময়ের সামনে এসে দাঁড় করান, যাতে তারা আগামী দিনে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতিতে মানিয়ে চালার মতো মানসিকতা তৈরি করতে পারেন। তাই তো শনিদেবকে যদি প্রসন্ন করতে চান, তাহলে এই সময় সাত্ত্বিক আহার করতে ভুলবেন না যেন!

৭. উপোষ:

এমনটা অনেকে বলে থাকেন যে শনির সাড়ে সাতি চলাকালীন প্রতি শনিবার যদি উপোষ করে শনিদেবের পুজো করা যায়, তাহলে খারাপ সময় কাটতে সময় লাগে না। তাই বন্ধু, শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে যদি প্রয়োজন পরে তাহলে এই নিয়মটি মানতে ভুলবেন না যেন!

 

 ৮. শনিদেবের মন্ত্র: একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে প্রতি শনিবার সারা দিন ধরে যদি শনিদেবের মন্ত্র যপ করা যায়, তাহলে সাড়ে সাতির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল…”নিলাঞ্জনা সমভাসামরাবিপুত্রামইয়ামাগ্রাজান ছায়া মার্থান্ডা সাম্ভোথাম থাম নামামই শানাইশারাম”। প্রসঙ্গত, প্রতি শনিবার কম করে ১০৮ বার যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন ফল মিলবে।




Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

সম্পর্কিত খবর