Newsbazar24: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে রক্তের দালাল চক্রের সক্রিয়তার ব্যাপারে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা ভুক্তভোগী। ব্লাড ব্যাংকে রক্ত বিক্রি করতে একটি দালাল চক্র বিশেষ সক্রিয়। মঙ্গলবার এই দালাল চক্রের এক সদস্য রোগীর আত্মীয় সেজে টাকার বিনিময়ে রক্ত দিতে এসে ধরা পড়ল এইচআইভি আক্রান্ত এক যুবক। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে। নিরাপত্তারক্ষীদের জেরায় টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রির ঘটনা স্বীকার করেছে ধৃত যুবক। অবশ্য এর আগে ব্লাড ব্যাংকের রক্ত বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবার ব্লাডব্যাঙ্কে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র।
জানা গিয়েছে, আটক যুবক এইচআইভি তে আক্রান্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জ মেডিকেল চত্ত্বরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্তের নাম সাজু মহম্মদ(২৬)। বাড়ি রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়া গ্রামে। এদিন দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্কে সে রক্ত দিতে আসে। তাকে দেখে সন্দেহ হয় ব্লাড ব্যাংকের কর্মীদের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে জানায় ১১ দিন আগেই রক্ত দিয়েছে। আর তাতেই সন্দেহ হয় ব্লাডব্যাঙ্কের কর্মীদের। ইতিমধ্যে জানাজানি হয়ে যায়, সে ব্লাডব্যাঙ্কের সামনে এক রোগীর পরিজনের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে রোগির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত দিতে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের জেরার মুখে সব কথা স্বীকার করে। খবর দেওয়া হয় একটি রক্তদানে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ও
রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এবং রক্তদানে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে খবর দেওয়া হয় । টাকার বিনিময়ে রক্ত দানের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে। যদিও রোগীর স্বামী জানান, এই যুবক আমাদের আত্মীয় হয় না। আমার স্ত্রী এখানে ভর্তি ছিল। আজ তাকে রক্ত দিতে হবে বলে নিয়ে এসেছিলাম। সাজু রক্ত দেবে বলে জানায়। আমার কাছে মিস্টি খাবার কিছু টাকা চেয়েছিল। পরে শুনি ওর রোগ আছে। আটক যুবক সাজু জানায়, আমার নাকি রোগ আছে সেজন্য আমাকে আটকে রেখেছে। জানি না কি রোগ আমার।
এদিকে আটক যুবক এইচআইভিতে আক্রান্ত জানতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক সদস্য জানান, ব্লাডব্যাঙ্কের সামনে দেখা যায় বেশ কিছু দালাল চেয়ারে রোগীর পরিজন সেজে বসে থাকে, রোগীর রক্তের প্রয়োজন এর কথা জানতে পেরে টাকার লেনদেন করে নেয়। এভাবে চুপিসারে বসে থেকে রোগি ও তাদের পরিজনদের কাছ থেকে রক্তের বিনিময়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
Post your comments about this news