Newsbazar 24:- অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল জাদুঘর লাগোয়া সিআইএসএফ ব্যারাকে সহকর্মীদের একে-৪৭ নিয়ে গুলি চালানো এক জওয়ান। ঐ ঘটনায় অপর এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ। তারপর প্রায় দেড় ঘন্টা পর কলকাতা পুলিশের বিশেষ অপারেশনে তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে কলকাতা পুলিশ। পৌঁছে যায় কমান্ডো বাহিনী। প্রথমে রক্তাক্ত দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এরপর তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ।
সাতটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয় অপারেশন। কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন এই অপারেশনে। প্রথমে ব্যারাক চত্বর অন্ধকার করে দেওয়া হয়। একটি টিম হাতে লেজার টর্চ ও বড় লাইট নিয়ে মাইকিং করতে করতে সিআইএসএফ ব্যারাকের ভিতরে ঢোকে। মাইকে ওই বন্দুকবাজ জওয়ানকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে সজ্জিত হয়েই অপারেশনে নামেন লালবাজারের অফিসাররা। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর এক জায়গা থেকে ওই জওয়ানের আওয়াজ পাওয়া যায়।সে বলে, পুলিশকে অস্ত্র ছেড়ে দিতে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অস্ত্র রেখে দেয় পুলিশ। রাত আটটা নাগাদ আলোচনার মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে কম করে ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল ওই জওয়ান। তবে স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, ২৫-৩০ রাউন্ড গুলি চলেছে। তবে কী কারণে ওই জওয়ান গুলি চালাল তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন নগরপাল।
জানা গেছে, কর্তব্যরত এক সিআইএসএফ জওয়ান এদিন হঠাত্ পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। একে ৪৭ পিস্তল থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। এই ঘটনায় আরেক সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ।
যিনি গুলি চালিয়েছেন তিনি সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) ইউনিট হেড। কেন তিনি এমন আচরণ করলেন সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি এখনও।
Post your comments about this news