Newsbazar24:সজনে পাতা সজনে ডাঁটা অনেকেরই প্রিয় খাবারের মধ্য অন্যতম। সজনের পাতা যে অনেক পুষ্টিকর তা অধিকাংশ মানেন। বহু রোগ সারাতে এই সজনে পাতা বেশ কার্যকরী। বলতে গেলে সজনে গাছটাই একটি অলৌকিক গাছ হিসেবে পরিচিত। তবে শুধুমাত্র খাবার হিসেবেই পুষ্টিকর তা বললে ভুল হবে। কারণ খুশকি ও শুষ্কতা দূর করতেও সজনে পাতার ভূমিকা পালন করতে সক্ষম এই সজনে পাতা। এছাড়া থাইরয়েড, পিসিওএসের মত হরমোনজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটে সজনে পাতার রস বা তরকারি খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভাবছেন সজনে পাতা এই সময় কোথা থেকে পাবেন? বাজারে বা অনলাইনে সজনে পাতার গুঁড়ো বা পাউডার পাওয়া যায়। তবে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। খুব সহজ উপায়েই ও দ্রুত সজনে পাতার পাউডার বানিয়ে নিতে পারবেন। কীভাবে, তা দেখে নিন একনজরে…
প্রথমে সজনে পাতাগুলি ছায়ায় শুকিয়ে নিন। রোদে কখনওই শুকোবেন না। তাজা পাতাগুলি ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
– ধুয়ে ফেলার পর একটি শুকনো পরিস্কার সুতির কাপড়ে ছড়িয়ে দিন। শুকিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য এটিতে অন্য কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। একবার পাতাগুলি শুকিয়ে গেলে একটি বড় প্লেটে ডাল থেকে সরিয়ে তারপর ছড়িয়ে দিন। সজনের পাতগুলি নিয়ে ডালটি ফেলে দিন।
– এরপর সূর্যের তাপে একাবারেই রাখবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র তাপপ্রবাহ বা গরমকালের মধ্যে তৈরি করেন তাহলে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে একটি পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে পাতা ঢেকে রাখতে হবে।
– চার থেকে পাঁচ দিন আলাদা করে রেখে দিন। ষষ্ঠদিনে পাতাগুলি সম্পূর্ণ শুকনো ও মুচমুচে দেখাবে। এরপর পাতাগুলো গুঁড়ো করার ব্যবস্থা করতে হবে।
– জেনে রাখা ভাল, পাতা শুকনো হওয়ার সময় তাপমাত্রার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পা,তাগুলি শুকোতে ২দিন সময় লাগে। তবে কখনও কখনও সাতদিনও সময় লেগে যায়।
– পরবর্তীধাপে একটি কাচের পাত্রে শুকনো পাতাগুলি সংরক্ষণ করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে কফি গ্রাইন্ডারে রেখে দিন। পাতাগুলি সূক্ষ্মভাবে গুঁড়ো না হওয়া পর্যন্ত গ্রাইন্ডারে পিষে ফেলুন
সজনে-নারকেল তেল: জোজোবা তেল বা ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তেল হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
হেয়ার প্যাক: দই, গোলাপ জল এবং চালের জলের সঙ্গে মোরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে হেয়ার প্যাক বানাতে পারেন।
Post your comments about this news