Newsbazar24:বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতের পর রাত সহবাসের অভিযোগ ।এদিকে তরুণী গর্ভবতী হতেই সম্পর্ক অস্বীকার অভিযুক্ত যুবকের।থানায় অভিযোগ দায়ের তরুণীর। অভিযুক্ত যুবক এলাকায় তৃণমূল কর্মী হলে পরিচিত। অতি ও তার পরিবারের অভিযোগ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কথা বলে ওই যুবক তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত যুবক ও ওই তরুণীর বাড়ি কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কোনো এক গ্রামে।দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।প্রেমের টানে ওই যুবক ওই তরুণীর বাড়িতে যাতাযাত শুরু করে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করতো বলে অভিযোগ তরুনীর।কয়েক মাস শারীরিক সম্পর্কের পরেই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পরে। সেই সময় জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। এরপরে তরুণী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে অভিযুক্ত যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করে।এরপরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই তরুণী।
এপ্রসঙ্গে নির্যাতিতা যুবতী জানিয়েছে,’বছর পাঁচেক আগে প্রতিবেশী সাহাবুল আলমের ছেলে ইনায়েত আলি(২৪) তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় আস্তে আস্তে মেলামেশা শুরু হয়।প্রেমের অছিলায় প্রায় দিনই ইনায়েত তার সঙ্গে সহবাস করতো। একসময় সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল।জোর করে তার গর্ভপাত করানো হয়েছিল। তিনি আরো জানান,বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবক তার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেছে। ।এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কথা বলে ওই যুবক তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। সমস্ত রকমের দুর্নীতি এবং অপরাধ এই দলে হয়। এরা তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়। মুখে যতই বলুক এরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। মানুষ সব দেখছে এখন।
অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, এই সব ফালতু কথা। কেউ দলের নাম ব্যবহার করে অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। দল কোন অন্যায় বরদাস্ত করবে না। আইন আইনের পথে চলবে।এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠছে ওই যুবক কি ভাবে তৃণমূল নেতাদের নাম ব্যবহার করে হুমকি দিল যুবতী এবং তার পরিবারকে। তবে কি সত্যিই শাসকদলের নেতাদের হাত রয়েছে তার মাথায়। না কি শাসকদলের নাম ব্যবহার করে বাঁচতে চেয়েছিল ওই যুবক। তবে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।