কম দামের গাড়ী যা মধ্যবিত্তদের পক্ষে কেনা সম্ভব সেই সব গাড়ীরই বিক্রি বাড়বে বলে মনে করছে বাণিজ্য মহল।।
News bazar24: লকডাউন স্বাভাবিক হলে বাড়তে পারে গাড়ীর বাজার। ২ চাকা থেকে চার চাকা সব গাড়ির ক্ষেত্রেই বাড়বে বিক্রির হার। তবে কম দামের গাড়ী যা মধ্যবিত্তদের পক্ষে কেনা সম্ভব সেই সব গাড়ীরই বিক্রি বাড়বে বলে মনে করছে বাণিজ্য মহল।। খালি এই নয়, বাড়বে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ী কেনা বেচার ব্যবসা। কমবে ট্যাক্সি বা ওলা–উব্রের এর মত ভাড়া গাড়ির ব্যবসা ।
লকডাউন এর পরবর্তী কালে দেশে ব্যবহৃত গাড়ির কেনার চাহিদা নতুন গাড়ির থেকে তুলনামূলকভাবে বাড়তে পারে বলে মনে করছে বাণিজ্য মহল। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, যেহেতু কোভিড–১৯ অত্যন্ত সংক্রামক রোগ, সেহেতু, বেশিরভাগ মানুষই যাদের পেশার তাগিদে রোজ ঘরের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা বাস, লোকাল ট্রেন, মেট্রোর মতো গণ পরিবহনে চড়তে ভয় পেতে পারেন।
একইভাবে হয়তো পরিচ্ছন্নতা ও সংক্রমণের ইস্যুতে ট্যাক্সি বা ওলা–উব্রের মতো পরিবহনও এড়াতে চাইবেন। তাই অনেকে ই এম তে কষ্ট করে হলেও বেঁচে থাকার তাগিদে গাড়ী কিনে নেবেন । আবার অনেকেরই নতুন গাড়ি কেনার আর্থিক সামর্থ্য নেই তাঁরা সেক্ষেত্রে ব্যবহৃত গাড়ি বা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার দিকে এগিয়ে জাবেন । ফলেসেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদা অনেকটাই বাড়তে পারে। কারণ নতুন গাড়ির থেকে ব্যবহৃত গাড়ির দাম অপেক্ষাকৃত কম।
মাহিন্দ্রা ফার্স্ট চয়েস হুইলস্–এর এমডি তথা সিইও আশুতোষ পান্ডে যেমন বলছেন, বিএস৬ মডেলের গাড়ি সংখ্যায় কম থাকায় বিএস৪ মডেল কেনার চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তিনি বলছেন, ভারতে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদা বরাবরই অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো। তবে মারুতি সুজুকি এবং হুন্ডাই মোটোর ইন্ডিয়া সাধারণত তাদের নিজেদের মডেলই সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রি করে। কিন্তু মাহিন্দ্রা ফার্স্ট চয়েস হুইলস্, টয়োটা ইউ–ট্রাস্ট সব কোম্পানির সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িই বিক্রি করে থাকে।
যাই হোক না কেন। পাগলও নিজের ভালো বোঝে । তাই নিজের ভালো বুঝতে সবাই গাড়ী কেনার দিকে এগিয়ে যাবে। যার ফলে গাড়ী শিল্পে আর্থিক মন্দা দূর হবে ।
Post your comments about this news