কার্ত্তিক পাল, Newsbazar 24: পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মালদহ জেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার মালদহ টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল এক বর্ণময় সন্ধ্যা। মঞ্চে প্রকাশিত হল একটি ভিন্ন ধারার বই। লেখকের কথায় বই নয় জার্নাল। মঞ্চে ছিল চাদের হাট। সাহিত্যিক, কবি, অধ্যাপক, ডাক্তার, সরকারী আধিকারিক, সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। তারা প্রকাশ করলেন বর্তমান কালের বিশিষ্ট শিক্ষক সুনীল কুমার সরকারের লেখা ‘চেতনার অতিমারী’ একটি করোনাকালীন জার্নাল। সাম্প্রতিক করোনাকালের ঘটনাবলী নিয়ে লেখা বইটি। করোনাকালে যেভাবে বিজ্ঞানমনস্কতা, মানবিকতা ও মননশীলতার অপমৃত্যু ঘটেছে তা সুন্দর ভাবে পরিস্ফুটিত হয়েছে বইটিতে। এক কথায় বইটিকে তথ্য সমৃদ্ব একটি দলিল বলে অভিহিত করা যায়। সুনীল কুমার সরকার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর। সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস ক্যালক্যাটা এবং জয়প্রকাশ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল চেঞ্জ-এ গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। বিজ্ঞানমনস্কতা-যুক্তিবাদ , পরিবেশ এবং সামাজিক ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ'র একজন সক্রিয় বিজ্ঞান কর্মী ।বর্তমানে মালদা জেলার শতাব্দী প্রাচীন 'নঘরিয়া হাই স্কুল'এর প্রধান শিক্ষক। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্রাকমুহুর্তে সুনীল কুমার সরকার বলেন,‘চেতনার অতিমারী’ একটি করোনাকালীন জার্না্ এই বইটি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মালদহ জেলা শাখার উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করল। ।করোনাকালীন ঘটনাবলি নিয়ে বইটি। করোনা অতিমারিতে শুধু মানুষের মৃত্যু নয়, আমাদের চেতনার অপমৃত্যু ঘটেছে। আমাদের বিজ্ঞানমনস্কতা, আমাদের মানবিকতা ও মননশীলতার অপমৃত্যু ঘটেছে। এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা থেকে মানুষ অনেকটাই সরে এসেছে। মানুষ মানুষকেই বাত্য করে দেওয়ার একটা পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঘটনাগুলো লেখার চেষ্টা করেছি। এই লেখার মধ্য দিয়ে একদিকে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি অপরদিকে আগামী প্রজন্মের মানুষ কুড়ি বছর বা 50 বছর পর যখন জানতে চাইবে করোনাকালে কি হয়েছিল? তখন তারা করোনাকালীন সময়কার ভাল কাজ এবং যে খারাপ কাজগুলো হয়েছে তার একটা প্রতিফলন দেখতে পাবে। সেখানে থেকে মানুষ শিক্ষা নেবে মানুষকে মানুষের পাশে থাকতে হবে। এবং সকলে আমরা সামাজিক বন্ধনের মধ্যে যেন সুরক্ষিত থাকি এই বার্তাটি দেওয়া হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে পাঠকদের কাছ থেকে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান জানিয়েছেন।
সাহিত্য
Post your comments about this news