Malda:উচ্ছেদের নাম করে রেলের জাল নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

Newsbazar24:উচ্ছেদের করতে চেয়ে রেলের নামে জাল নোটিশ। ঘরে ঘরে উচ্ছেদের রেলের জাল নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়ার বা হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর এবং কিছু রেলেরই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই নোটিশ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিআরএম। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে রেল বোর্ডে জরুরি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তোলা হবে। ঘটনা মালদার রেল কলোনির।
মালদা রেল কলোনির বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে রেলের জায়গা বেআইনি দখল করে রয়েছে শয়ে শয়ে পরিবার। পুরসভার ভোটে এরাই কয়েকটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভোটার। যাঁদের নিয়ে ক্ষমতার আবর্তে থাকেন কাউন্সিলররা। বিশেষ করে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুন হয়ে যাওয়ার পরে পরেই সেই এলাকার দখল কার হবে তা নিয়ে চলছে রেষারেষি।

এরই মধ্যে অভিভাবকহীন ওই পরিবারদের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল রেলের নোটিশ। যেখানে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে তাঁদের উঠে যেতে বলা হয়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংসদের রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তথা বিজেপির সাংসদ খগেন মূর্মূর অভিযোগ, এই নোটিশ জাল।
ভুয়ো নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূলের এক কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। শুধু নোটিশ নয়, তৃণমূলের মাসল ম্যানদের দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। একই সাথে আরও গুরতর অভিযোগ, রেলের ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে তৃণমূলের নেতাদের ওই চক্র রেলের আউটসোর্স কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রাপ্য অর্ধেকের বেশি টাকা পকেটস্থ করছে। বিষয়টি নিয়ে খগেন মূর্মূ, ডি আর এম এর কাছে অভিযোগ জানান।
নোটিশ দেখে তাঁদের ডি আর এম জানান,এই নোটিশ রেলের নয়। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন ডি আর এম।রেল প্রশাসনের নামে ভুয়ো উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভীত, সন্ত্রস্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ। বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম দাসের অভিযোগ বিজেপি এবং রেল প্রশাসন মিলে গরীব মানুষকে উচ্ছেদের চক্রান্ত করছে। উচ্ছেদের নোটিশ দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে আজ তারা ডি.আরএম সাহেবের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন। তাদের দাবী-দাওয়া তুলে ধরবেন।
এদিকে রেল কলোনির বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেলের নোটিস দিতে যাঁরা এসেছিল তাঁরা রেলের লোক নয়। কোনো কাউন্সিলর তাঁদের পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই নোটিসে রেলের সিলমোহর নেই, আধিকারিক এর স্বাক্ষর ও ছিল না।