প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ১০১০ কোটি টাকারও বেশি সিটি গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন

Newsbazar24:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় সিটি গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ১০১০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের এই প্রকল্পের লক্ষ্য ২.৫ লক্ষেরও বেশি পরিবার ও ১০০ টিরও বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম কাজের কর্মসূচির (MWP) লক্ষ্য অনুযায়ী প্রায় ১৯ টি CNG স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহনে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (CNG) সরবরাহ করা।

সরকারি এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, গত কয়েক বছরে ভারত জ্বালানি খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে, আজ, আমাদের দেশ দ্রুত গতিতে জ্বালানি-ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছে।
সিটি গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক ৫,৫২০ টিরও বেশি জেলায় পৌঁছেছে… CNG পরিবহনেও পরিবর্তন এনেছে। দূষণ কমছে। তাই মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, এবং তাদের পকেটের বোঝা কমছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের ৩১ কোটিরও বেশি মানুষের আজ LPG সংযোগ রয়েছে। প্রতিটি পরিবারে গ্যাস বিতরণের স্বপ্ন এখন পূরণ হচ্ছে। এর জন্য, আমাদের সরকার বিশ্বের প্রতিটি কোণে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করেছে।
“আপনারা সকলেই উর্জা গঙ্গা গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের সঙ্গে পরিচিত। এই প্রকল্পটি গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতিতে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ। এই নীতির অধীনে, পূর্ব ভারতে গ্যাস পাইপলাইন সংযুক্ত করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই সমস্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। গ্যাস ভিত্তিক শিল্পও এর থেকে উদ্দীপনা পেয়েছে। এখন আমরা এমন একটি ভারতের দিকে এগিয়ে চলেছি যেখানে জ্বালানি সস্তা, পরিষ্কার এবং সকলের জন্য সহজলভ্য।
এদিন সিটি গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরে আলিপুরদুয়ারে একটি জনসভা ও করেন তিনি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার হিংসা, তোষণ, দাঙ্গা আর দুর্নীতির সরকার।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তৃণমূলকে শুধুমাত্র রাজনীতি করতে আগ্রহী বলে অভিযুক্ত করেছেন। “পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিল্লিতে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল। তৃণমূল শুধু ২৪ ঘন্টা রাজনীতি করতে চায়। তারা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন বা দেশের অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয় না।
এদিন সন্ধ্যায় তিনি বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুক্রবার তিনি উত্তরপ্রদেশ সফর করবেন।