সাপকে চিনতে না পেরে সাপ ধরে সোজা চলে যায় হসপিটালে

Newsbazar24 :

এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। সাপে কামড়ানোর পরে সেই সাপ নিয়ে পেশেন্ট পৌঁছেছে চিকিৎসকের কাছে। এবারও ধূপগুড়িতে সেই ঘটনাই ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরবেলা চার বন্ধুকে নিয়ে জলঢাকা নদীতে মাছ ধরতে যায় ভিকি রায়। মাছ ধরার সময় তার হাতে কিছু একটা কামড়ে দেয় বলে সে অনুভব করে। জল থেকে হাত বের করতেই দেখে ডান হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে । আর সেই গর্ত থেকে একটি সাপও বেরিয়ে আসে। সাপটিকে দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সাপ চিনতে না পেরে সাহস করে সাপটি ডাঙায় তুলে, একটি প্লাস্টিকের কৌটার মধ্যে ভরে ফেলে। এরপর ছুটে আসে বাড়িতে। ক্ষতস্থান থেকে কিছুটা উপরে হাতে বাঁধনও দেয়। এরপর সাপ নিয়ে সোজা ছুটে আসে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। সাপটিকে দেখে চিকিৎসকদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরী হয়। কারণ সাপটি তাদের কাছে একদম নতুন।

ধূপগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভিকি রায়। সাপটি আয়তনের ছোট, তবে গায়ের রং মাথার গঠন দেখতে অবিকল অ্যানাকোন্ডা সাপের মতো। তবে আয়তনে ছোট। দক্ষিণ আমেরিকার অ্যানাকোন্ডা সাপ আয়তনে সব থেকে বড় হয়। মাথাটা শরীরের তুলনায় ছোট হয় এবং চোখগুলো বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে অনেকটা। ঠিক তেমনই আকৃতির এবং রঙের দেখতে কামড় দেওয়া সাপটিও। অ্যানাকোন্ডা সাপের মতোই লাফিয়ে কামড়াতে আসে। হাসপাতালে ছুটে যান সর্প বিশারদ। সাপটিকে ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি চিকিৎসকদের জানান, সাপটা নির্বিষ। তার পরেই চিন্তামুক্ত হন সকলে।