Friday , 7 February 2025 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

৩২ নম্বর ধানমান্ডি – রক্ত দিয়ে শুরু, আগুনে শেষ

প্রতিবেদক
demo desk
February 7, 2025 12:08 pm

Newsbazar24 :

আরও একটা রক্তপাতের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। ৩২ নম্বর ধানমান্ডির বাড়ি ধ্বংস করে আগুন দিয়ে যে ইতিহাস পাকিস্তানপন্থী রাজাকাররা তৈরী করলো, অচিরেই আবার হয়তো অন্য কোথাও বিপরীত ইতিহাস তৈরী হবে। কারণ ইতিহাসের নিয়ম হলো – ‘ইতিহাস ফিরে আসে।’ ওই বাড়িটার ঠিকানা ছিল ৩২ ধানমন্ডি। এই বাড়ি থেকেই মুজিব ডাক দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের। এই বাড়ি থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের। এই বাড়িতেই হত্যা করা হয়েছিল মুজিবরকে। স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িকে মিউজিয়াম বানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ সেই বাড়ির অস্তিত্বও রইল না।

ইতিহাস বলছে, ১৯৬০ সাল পর্যন্ত জেলবন্দি ছিলেন শেখ মুজিবর। মুক্তি পাওয়ার পর ধানমন্ডিতে একটি একতলা বাড়ি তৈরি করেন। দুই কামরার ওই অর্ধনির্মিত বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। ১৯৬১ সালের ১ অগস্ট হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশনের থেকে ঋণ পান মুজিবর। ১০০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করেন।
শেখ মুজিবর রহমানের সবথেকে ছোট ছেলে শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর এই বাড়িতেই জন্ম গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালে বাড়ির কাজ শেষ হয়। দোতলা বাড়িতে শখ করে একটি লাইব্রেরি বানান মুজিবর। ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচন সহ একাধিক বড় বড় সিদ্ধান্ত এই বাড়িতে বসেই নেওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে এই বাড়ি থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তান থেকে ফেরার পর তাঁর পরিবার আবার এই বাড়িতে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকতেন বঙ্গবন্ধু।

ইতিহাস আরও বলছে, সেই সময় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW)-র প্রধান ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও। বাংলাদেশি সেনাই মুজিবরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, এই খবর গোপন সূত্রে পেয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে জানান। তিনি রামেশ্বর নাথকে বাংলাদেশে পাঠান মুজিবকে সতর্ক করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই কথা বিশ্বাস করতে চাননি। বলেছিলেন, “ওরা আমার সন্তানের মতো। ওরা আমার কোনও ক্ষতি করবে না।” ১৯৭৫ সালে ফের মুজিবরকে সতর্ক করা হয়। এবারও তিনি গুরুত্ব দেননি সেই সতর্কবার্তায়।

এর পরেই আসে সেই অভিশপ্ত ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট সমস্ত আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল পাক সেনারা। ১৪ অগস্টের রাতে তিনতলার ঘরে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন শেখ মুজিবর রহমান, তাঁর স্ত্রী ও কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল। তিন তলাতেই আরেকটি ঘরে ছিলেন পুত্র জামাল ও তাঁর স্ত্রী রোজি। চার তলায় ছিলেন মুজিবরের পুত্র কামাল ও তাঁর স্ত্রী সুলতানা। মুজিবের ঘরের ঠিক সামনে ব্যালকনিতে শুয়েছিলেন বাড়ির দুই পরিচারক রোমা ও সেলিম। এছাড়া একেবারে নীচের তলায় ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। সেই সময় বিদেশে ছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ভোর পাঁচটা। হঠাৎ দরজা খুলে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন মুজিবের স্ত্রী। পরিচারক রোমাকে তিনি জানান, তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে হামলা হয়েছে। মুহূর্তে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসে ওরা। শেখ কামাল, জামাল প্রত্যেকে নীচে নেমে আসেন।হঠাৎ গুলির শব্দ, শোনা যায় শেখ কামালের আর্তনাদ।

ছেলের আর্তনাদ শুনেই বঙ্গবন্ধু ছুটে যান নিজের ঘরে। বন্ধ করে দেন দরজা। বন্ধ হয়ে যায় গুলির শব্দ। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন মুজিবর। মুহূর্তের মধ্যে তাঁকে ঘিরে ফেলে আততায়ীরা। বঙ্গবন্ধু তাঁদের বলেন, “তোমরা কী চাও? কোথায় নিয়ে যাচ্ছ আমাকে?”
হিড়হিড় করে তাঁকে টেনে সিঁড়ির দিকে নিয়ে যায় আততায়ীরা। বঙ্গবন্ধু বুঝে গিয়েছিলেন কী হতে চলেছে এরপর। দু-তিন ধাপ নামার পরেই নীচ থেকে গুলি চালানো হয় বঙ্গবন্ধুকে লক্ষ্য করে। সিঁড়িতেই লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত মুজিবর। তারপরও অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর পরিবারকে যেন স্পর্শ না করা হয়। কেউ সেই অনুরোধ শোনেনি। ততক্ষণে পরিবারের সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছেন মুজিবরের ঘরের বাথরুমে। মুজিবর রহমানের ভাই শেখ নাসেরের হাতে গুলি লাগে। নিজের শাড়ি ছিড়ে তাঁর হাতে বেঁধে দেন মুজিবের স্ত্রী। এমন সময় তিনতলায় চলে আসে আততায়ীরা।

একে একে সবাইকে বের করা হয় শৌচালয় থেকে। সবাইকে নীচে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঁড়ি থেকে নামার সময় মুজিবরের স্ত্রী দেখেন, সিঁড়িতেই পড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত দেহ। দেখেই তিনি বলে ওঠেন, “আমি আর কোথাও যাব না, মেরে ফেল আমাকে।” তাঁকে টানতে টানতে ঘরের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয়। শোনা যায় একটা গুলির শব্দ…। মুজিবের কনিষ্ঠ সন্তান রাসেলকেও ছাড়েনি ওরা। সেই সময় রাসেলের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। গুলি, বাবা, দাদার রক্তাক্ত দেহ দেখে ভয় কাঁপছিল সে। বারবার বলছিল, আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে চলো। এই কথা শুনে আততায়ীরা তাঁর হাত ধরে বলে, “চল তোমাকে তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যাব।” রাসেলকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। একইভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাইকেও বাথরুমে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সেই রক্ত ঝরা ইতিহাসকে আবার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলো পাকিস্তানপন্থী রাজাকাররা। কিন্তু আবার এক নতুন রক্তের ইতিহাস তৈরীর পথ খুলে দিলো দূরবৃত্তরা।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্টা লাইনে চালকবিহীন রেল পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মঙ্গলবার সকালে তিন শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছাল মালদার আটগামা গ্রামে

Uttar Dinajpur:জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

ব্যাবসায়ীদের অবাদনে ৫-৮ আগস্ট লকডাউন উত্তর দিনাজপুর, জানালেন জেলা শাসক

জানলে অবাক হবেন আম পাতার উপকারিতা

প্রাক্তন প্রেমিকার মুরগি(পলি)কে চুরি করে প্রেমিক এখনো পুলিশের হাতে

Murshidabad:মুম্বাই থেকে মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের কফিনবন্দি মৃতদেহ ফিরল গ্রামের বাড়িতে, এলাকায় শোকের ছায়া

২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের চক্রীকে ভারতে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করল আমেরিকা

মাদক পাচার রুখতে মালদা জেলা পুলিশের বড়সড় সাফল্য

Malda: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বন্ধ রাখার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে অভিযোগ খোদ শিক্ষা মন্ত্রীর