মালদা বিভাগের আরপিএফ “অপারেশন নারকোস”-এর অধীনে প্রায় ১০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে

Newsbazar24 :পূর্ব রেলের মালদা বিভাগের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী তার চলমান উদ্যোগ “অপারেশন নারকোস” এর মাধ্যমে মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরো একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করল।
গোয়েন্দা সূত্রের খবরের ভিত্তিতে, মালদা টাউন স্টেশনের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ‌ যৌথভাবে ১৩০৩৪ ডাউন কাটিহার-হাওড়া এক্সপ্রেসে অভিযান চালায় গতকাল সন্ধ্যায়। আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:১০ মিনিটে ট্রেনটি মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছালে যৌথ দল এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে যে ট্রেনের সাধারণ বগিতে ভ্রমণ করছিল। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় আনুমানিক ২.১১৫ কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য 10 কোটি টাকা। মাদকদ্রব্যগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ এর উদ্দেশ্যে কর্তব্যরত রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী জিআরপির হেফাজতে প্রদান করে। এই প্রসঙ্গে জিআরপি, মালদা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস (নার্কোটিক) আইনে মামলা দায়ের করেছে।
মালদা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম ইসমাইল শেখ (৩৯) । তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার চাঁদনীচক এলাকায়। মূলত নাগাল্যান্ডের দিমাপুর থেকে মাদক কারবারীদের একটি র‍্যাকেটের কাছ থেকে এই ব্রাউন সুগার সংগ্রহ করেছিল ধৃত ওই ব্যক্তি। একটি খাওয়ারের টিফিন কৌটায় পরপর চারটি প্লাস্টিকের ছোট ছোট পাউচ ব্যাগে এই ব্রাউন সুগারগুলি মজুত করা হয়েছিল। অভিনব কায়দায় সেই খাওয়ারের টিফিনকারী জেনারেল কামরার সিটের নিচের কোন এক কোনায় রাখা হয়েছিল। ধৃত ওই ব্যক্তি প্রথমে এনজিপি স্টেশনে আসে সেখান থেকে কাটিহার আসে এবং কাটিহার থেকে ‘ডাউন কাটিহার হাওড়া এক্সপ্রেস ধরে সে মালদাতে আসতেই তাকে আরপিএফ ও জিআরপি পাকড়াও করে।
এই অপারেশনটি রেলওয়ে চত্বরে অবৈধ কার্যকলাপ, বিশেষ করে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মালদা বিভাগের নিরলস লড়াইয়ে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য চিহ্নিত করেছে মালদা স্টেশনের আরপিএফ এর ভারপ্রাপ্ত অধিকারীক।